সোমবার কলকাতা পুরসভা অভিযানের ডাক সিটুর

সোমবার কলকাতা পুরসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হল সিটুর তরফ থেকে। মূলত অস্থায়ী কর্মীরা চরম অবহেলিত হচ্ছেন, এই অভিযোগেই এমন ডাক সিটুর তরফ থেকে। এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভার যে পরিকাঠামো তাতে পুরসভার কাজের জন্য নির্ভর করতে হয় একটা বড় অংশের অস্থায়ী কর্মীর ওপর। এদিকে এই অস্থায়ী কর্মীরাই যথেষ্ট অবহেলার শিকার। এমনটাই অভিযোগ আনা হয়েছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর তরফ থেকে। পাশাপাশি সিটুর তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, এই কর্মীদের সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়টির প্রতি তারা কোনওভাবেই কর্ণপাত করতে নারাজ। কর্তৃপক্ষ যাতে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেন তার জন্য লাগাতার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটু। তারই অংশ হিসেবে ২০ মার্চ কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে অভিযান জানানো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে জানানো হয়, কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন দপ্তরে প্রায় ৩০,০০০ শ্রমিক কাজ করেন। বিভিন্ন কর্মীদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা রয়েছে। কোথাও পিএফ, গ্রাচুইটি, ইএসআইয়ের পাওয়ার অধিকার থাকলেও অনেকেই সেটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ছুটি পাওয়ার ক্ষেত্রেও সেরকমভাবেই সমস্যা রয়েছে। এরমধ্যে যারা ১০০ দিনের কাজ করেন তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ। যে টাকা এই প্রকল্পে পাওয়া যায় যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে, এই ১০০ দিন কাজ করেই সারাবছর সংসার চালাতে হয় এই শ্রমিকদের। আর এখানেই বাম সংগঠনের তরফ থেকে দাবি তোলা হয়েছে যে, একদিকে অস্থায়ী শ্রমিকদের সমস্যা যেমন মেটানো তেমনি ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিক কলকাতা পুরসভা। এই মর্মে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তাতে কোন সুরাহা হয়নি বাধ্য হয়েই আন্দোলনের রাস্তায় নামতে চলেছেন শ্রমিকরা।
এই প্রসঙ্গে সিটু নেতা সৌমজিৎ রজক জানান, ‘কলকাতার মানুষকে পানীয় জল সরবরাহ করা থেকে শুরু করে শহরের নিকাশি, সাফাই, জঞ্জাল পরিষ্কার, পৌর স্বাস্থ্য, কর্পোরেশনের স্কুল, এমনকি জন্ম মৃত্যু সার্টিফিকেট প্রদান অব্দি সব হচ্ছে অস্থায়ী কর্মীদের ভরসায়। অস্থায়ী শ্রমিক ও ১০০ দিনের কর্মীরা না খেয়ে মরে গেলে পৌরপরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু। অথচ দীর্ঘদিন ধরে তাঁদেরই ন্যায্য দাবিগুলোকে অবহেলা করছে এই পৌরবোর্ড‌। এটা চলতে থাকলে কিন্তু ঘোর বিপদ আছে সামনে! বাজেট নিয়ে যখন ওঁরা আলোচনা করবেন, তখন এই সহজ কথাটা মনে করিয়ে দিতে যাব আমরা। আবার বলছি, অস্থায়ী শ্রমিকদের দাবিগুলো কোনো মামুলি ব্যাপার নয়, গুরুত্ব দিয়ে এগুলো বিচার করা প্রয়োজন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =