‘সবার আগে দেশ, সবথেকে আগে দেশবাসী’ এই মন্ত্রকে মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবারের বাজেট তৈরি করেছেন।‘ সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু আগে এমনই এক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে এবারের বাজেটের এবারের বাজেটের সুরও যেন বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি এও তিনি জানান, ভারতের বাজেটের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। ভারতকে নিয়ে যে আশার আলো দেখা গিয়েছে, তারই প্রতিফলন দেখা যাবে কেন্দ্রীয় বাজেটে। এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন এও জানান, ‘অস্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের বাজেট সাধারণ নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করবে। গোটা বিশ্ব যে আশার আলো দেখছে তা আরও উজ্জ্বল হবে। এর জন্য আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে নির্মলা সীতারামণ সেই আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণের জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালাবেন।‘
এদিকে এবারের বাজেট নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দাবি, আগামী অর্থবর্ষেও সবচেয়ে দ্রুত আর্থিক সমৃদ্ধি হওয়া দেশের তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে থাকবে ভারত। চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ ৩১ মার্চের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল সরকার। গত বছর এই সময় আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৭ শতাংশ ছিল।
মঙ্গলবার প্রথা মেনে বাজেট অধিবেশনের শুরুতে। সংসদের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । বুধবার পয়লা ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। এদিনই আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করবে কেন্দ্র। এদিকে অর্থ মন্ত্রকসূত্রে খবর, এবারের বাজেট অধিবেশনে মোট ৩৬টি বিল আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে চারটি বিল অর্থনীতি সংক্রান্ত হতে পারে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে এবারও কাগজবিহীন বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নিরমালা সীতারমণ। এদিকে এই বাজেট অধিবেশন নিয়ে সংসদ উত্তাল হতে পারে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে শুরু করে ২০২২-র গুজরাত হিংসার উপর তৈরি ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি-র তথ্যচিত্র এরকম একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকারকে বাজেট অধিবেশনে নিশানা করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বিরোধীদের।
এদিকে বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে সোমবার কেন্দ্রের তরফে সর্বদল বৈঠক করা হয়েছিল। সেখানেও একাধিক ইস্যুতে সরব হতে দেখা যায় বিরোধীদের। আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার ‘দুর্নীতি’, বিবিসির তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করা এবং রাজ্য সরকারের কাজে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন তাঁরা।