ভুয়ো শিক্ষক কাণ্ডে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার এক অবসরপ্রাপ্ত ডিআই সহ ৩

ভুয়ো শিক্ষক কাণ্ডে রাজ্য গোয়ন্দা দপ্তরের হাতে গ্রেপ্তার অবসরপ্রাপ্ত ডিআই-সহ তিনজন। মুর্শিদাবাদের গোথা এ আর হাইস্কুলের ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিআইডি সূত্রে খবর। ধৃতদের নাম পূরবী বিশ্বাস, অঞ্জনা মজুমদার ও নিত্যগোপাল মাঝি। সিআইডি সূত্রে এও জানানো হয়েছে, পূরবী বিশ্বাস একজন অবসরপ্রাপ্ত ডিআই। বাকি দুইজন ক্লার্ক পদে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার পূরবী বিশ্বাসকে ভবানীভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় জেলা থেকে।
প্রসঙ্গত, সিআইডির ডিএসপি শিমূল সরকার ও ইন্সপেক্টর অসীম মণ্ডলের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে গোথা হাইস্কুলের ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের। এরপর পূরবী বিশ্বাসকে ভবানীভবনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সিআইডি-র তরফ থেকে। । সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় পূরবীকে।
গোথা হাইস্কুলের শিক্ষক অনিমেশ তিওয়ারির ভুয়ো নিয়োগের যে অভিযোগ সামনে আসে, সেই সময়ে এই তিনজনই কর্মরত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, ওই নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি উধাও করার পিছনে এই তিনজনের মুখ্য ভূমিকাও রয়েছে। উল্লেখ্য, গোথা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আশিস তিওয়ারি। তিনি অনিমেষ তিওয়ারির বাবা। তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীনই অনিমেষ চাকরিতে যোগ দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এই নিয়োগ দুর্নীতিতে আশিসকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষ গোথা এ আর হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিল। অভিযোগ উঠেছে, কোনও সুপারিশ ছাড়াই ভুয়ো পথে নিয়োগ হয় অনিমেষের। আর তা নিয়ে মামলাও হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলাটি উঠলে শুনানির সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয় যে, অনিমেষ তিওয়ারির নামে কোনও সুপারিশ করা হয়নি। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয়, আপাতত অনিমেষ তিওয়ারি নামে ওই শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। বিচারপতি বসু বেতনও বন্ধের নির্দেশ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তভার রাজ্যের সিআইডির হাতে তুলেও দেন তিনি। পাশাপাশি বিচারপতি এই ঘটনায় ডিআই-এর ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। শুক্রবার তাঁর এই সন্দেহ যে অমূলক নয় তাতেই সিলমোহর দিল রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =