চিপকে মাহির চেন্নাই সুপার কিংস ১২ রানে হারাল লখনউ সুপার জায়ান্টসকে

এই দিনেরই অপেক্ষায় ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস সমর্থকরা। শুধু তাই নয়, ক্রিকেটাররাও অপেক্ষায় ছিলেন। দীর্ঘ সময় পর নিজেদের ডেরায় ম্যাচ খেলার সুযোগ পেল চেন্নাই সুপার কিংস। হোম অ্যাওয়ে ফরম্যাটে আইপিএল ফেরায় সমর্থকদের কাছে বিশাল প্রাপ্তি। আগের দিন আরসিবি সমর্থকরা বিরাট শো দেখেছেন ঘরের মাঠে। চিপকে এ দিন মাহি শো। ব্যাটিংয়ে খুব কম সুযোগ পেলেও সমর্থকদের মন ভরালেন। তেমনই বরাবরের মতো নেতৃত্বে ম্যাচ ঘোরালেন। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই সুপার কিংস। কতটা রান সুরক্ষিত! বোঝা কঠিন। বিশেষত রাতের ম্যাচে রান তাড়া করাই সহজ হয়। চেন্নাইয়ের কাজ তাই কঠিন হল। প্রথমে ব্যাট করে বড় রান তোলার প্রয়োজন ছিল। সেই ভিত গড়লেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ডেভন কনওয়ে। শেষ দু-ওভারে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি তৈরি হয়। ১২ বলে ৩৭ রান প্রয়োজন ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ১৯তম ওভার করেন তরুণ বোলার রাজবর্ধন হাঙ্গারকেকর। ধোনি কি ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলেন? তবে পরিকল্পনামাফিক বোলিং করে অধিনায়কের মান রাখলেন। থার্ডম্যান বাউন্ডারিতে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের ফিল্ডিং সকলকে চমকে দিল। নিশ্চিত বাউন্ডারি আটকান ঋতু। শেষ ওভারে ২৮ রান প্রয়োজন ছিল লখনউয়ের। সিএসকের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার তুষার দেশপান্ডের চাপ বাড়ে। তাঁকেই শেষ ওভারে আনা হয়। চাপের মুখে নো বল করে পরিস্থিতি কঠিন করেন তুষার। শেষ অবধি ১২ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় চেন্নাই সুপার কিংসের। দু-দলের মধ্যে পার্থক্য হয়ে দাঁড়ালেন মাহি। বোর্ডে ২১৭ রানের বিশাল স্কোর থাকলেও পেসারদের বোলিং আশানুরূপ হল না। ফিল্ডিংয়েও প্রচুর ভুল করল চেন্নাই। লখনউ সুপার জায়ান্টসের সঙ্গে তাদের জয়ের ব্যবধান ১২ রান। সিএসকে ইনিংসের শেষ ওভারে ব্যাট হাতে নেমে পরপর দুই ছক্কা ধোনির। ৩ বলে ১২ রানের ক্যামিও। যা ম্যাচের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াল। বোলিংয়ে স্পিন দাপট। মইন আলি ৪ উইকেট নেন। মিচেল স্যান্টনার ১ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২১ রান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =