ভারত, আমেরিকা-সহ বিশ্বের এক ডজন দেশ চিনা নাগরিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বেজিংয়ের তরফে মঙ্গলবার চিনা পর্যটকদের উপর দেশগুলোর এই বিধিনিষেধ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হল। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘কিছু দেশ শুধুমাত্র চিনা পর্যটকদের নিশানা করে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করছে। তাদের সতর্ক করে বলতে চাই ভবিষ্যতে পাল্টা ব্যবস্থার মুখে পড়তে হতে পারে।’
বিভিন্ন দেশ যেভাবে চিনা নাগরিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক এবং যাত্রীদের সঙ্গে ৭২ ঘণ্টা আগে করা কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখার কথা নির্দেশিকা জারি করেছে। এই বিষয়টি অবৈজ্ঞানিক বলে দাবি জানালেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং। এদিন এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কিছু নেই এবং কিছু পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য।’ এরপরই ক্ষোভের সুরে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু দেশ কেবল চিনা নাগরিকদের নিশানা করেই প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। পারস্পরিক নীতির ভিত্তিতে চিনও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে।’
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চিন থেকে আমেরিকায় ঢুকতে গেলে দেখাতে হবে যাত্রা শুরুর আগের দু’দিনের মধ্যে করা কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট। অথবা গত ৯০ দিনের মধ্যে সেই পর্যটক করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এই নথি দেখালেও ছাড় মিলবে। মূল চিনা ভূখণ্ডের পাশাপাশি, হংকং ও ম্যাকাও থেকেও যারা আমেরিকা আসবেন, তাদেরও মানতে হবে এই বিধি।