বাংলার মিষ্টান্ন ব্যবসাকে আরও উন্নত করতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে এবার বাংলার মিষ্টান্নকে প্রোমোট করতে জোড়া ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। একটি ‘মিষ্টি উদ্যোগ’। অন্যটি ‘মিষ্টান্ন’। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে কলকাতায় এক ‘মিলন উৎসব’-এ বক্তব্য রাখার সময় এমনটাই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মিষ্টি উদ্যোগ’ হল মিষ্টান্নের একটি ক্লাস্টার। তৈরি হবে মৌলালি ট্রাম ডিপোর কাছে। সেখানে বেশ কিছু মিষ্টির দোকান তৈরি হবে।
এদিকে অনেক আগেই ইকো পার্কের কাছে ইতিমধ্যেই একটি মিষ্টি হাব তৈরি হয়েছে। তার উল্টোদিকেই এবার তৈরি হবে ‘মিষ্টান্ন’। মিষ্টি ব্যবসায়ীরা মমতার কাছে অনুরোধ করেছিলেন ১০ কাঠা জমির জন্য। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁদের জন্য মিষ্টি হাবের উল্টো দিকে ২০ কাঠা জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। নামকরণও করে দিলেন নিজেই। ‘মিষ্টান্ন’। এই জমি যাতে ব্যবসায়ীরা ১ টাকায় পান, সেই বিষয়েই ক্যাবিনেটে প্রস্তাব আনা হবে বলে আশ্বস্ত করলেন মমতা। কীভাবে মিষ্টির ব্যবসার প্রসার আরও বাড়ানো যায়, এদিন সেই নিয়েও বিভিন্ন আইডিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে কোথায় কোন মিষ্টি ভাল পাওয়া যায়, সেই সব তুলে ধরার কথাও বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বললেন, ‘এই মিষ্টি ক্লাস্টার তৈরির ফলে বিভিন্ন জেলার মিষ্টি প্রোমোট হবে।
এরই পাশাপাশি বাংলার সঙ্গে, বাঙালির সঙ্গে মিষ্টির যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক সেই কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গুঁজিয়া, বোঁদের মতো মিষ্টিগুলির কথাও তুলে ধরেন। বললেন, ‘বোঁদে করুন। লোকে ভালবাসে। গুজিয়া ছোট্ট জিনিস, কিন্তু বাচ্চারা খেতে ভালবাসে। ক্ষীরের গজাও তৈরি করুন।’
এদি মমতা মিষ্টি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এও জানান, ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলেও যে বাঙালিকে মিষ্টির থেকে দূরে রাখা যায় না, সেই কথাও উঠে আসে মমতার কথায়। বললেন, ‘ডায়াবিটিস যাদের আছে তাঁরা বেশি মিষ্টি খায় মনে রাখবেন। বাজারে গিয়ে, অফিস থেকে ফেরার সময় লুকিয়ে লুকিয়ে।’ আর সেই কথা বলার সময়েই ‘হালকা-পুলকা মিষ্টি’ তৈরির জন্য বললেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘বাঙালির পরিচিতির সঙ্গে মিষ্টি এমনভাবে জড়িয়ে, শত চেষ্টাতেও সরানো যাবে না। অল্প মিষ্টির মিষ্টান্ন করুন, আরও ব্যবসা বাড়বে। হালকা-পুলকা মিষ্টি। আরও বেশি করে খাবে।’ একইসঙ্গে জন্মদিনের মতো অনুষ্ঠানে পায়েসের কেক কিংবা ছানার কেক তৈরির পরামর্শও দেন মমতা। বললেন, ‘আমি চাই বাংলার সব মিষ্টি জিআই তকমা পাক।’