বেআইনি পার্কিং ইস্যুতে বৃহস্পতিবার ফের সরব হতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে জায়গায় বেআইনি পার্কিং লট রয়েছে, সেগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলারও নির্দেশ দিলেন তিনি। সঙ্গে এও জানালেন পার্কিং সমস্যা মেটাতে আলিপুরের ‘সম্পন্ন’র মতো বেশ কয়েকটি পার্কিং জোন তৈরির ভাবনাচিন্তা রয়েছে তাঁর।
বেআইনি পার্কিং সম্পর্কে মমতা বলেন, ‘ফুটপাথের উপর কেউ কেউ পার্কিং করছেন। কারও জমিদারি নয়। বেআইনি পার্কিং ভেঙে যাবে। কলকাতা, রাজারহাট, হাওড়া, আসানসোল, দুর্গাপুরে যেখানে পার্কিং হচ্ছে, সেখানে আদৌ পার্কিংয়ের উপযুক্ত জায়গা রয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। যদি পার্কিং করা সম্ভব হয় তবে টেন্ডার হবে। সেন্ট্রাল টেন্ডার হবে। মেয়র নিজে কাজ খতিয়ে দেখবেন। ৫ জনের কমিটি তৈরি করে দিয়েছি। তাঁরাই দেখে রিপোর্ট দেবেন। পুলিশ কমিশনারেটকেও সঙ্গে রাখতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। ‘সম্পন্ন’র মতো পার্কিং জোন তৈরি হবে।’ এরই রেশ ধরে নির্দেশ, ‘দেখে নাও, কারা কারা করেছে বেআইনি পার্কিংয়ের বন্দোবস্ত। বেআইনিভাবে টাকা নিতে দেব কেন?’
এদিন নবান্নের বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়ে মমতা বুঝিয়ে দিলেন বেআইনি পার্কিং নিয়েও কাউকে রেয়াত করবেন না তিনি।
এর পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে রাস্তা এবং বিপজ্জনক বাড়ি নিয়েও সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাস্তা বানানোর পরে পাঁচ বছর না চললে ঠিকাদারকে ব্ল্যাক লিস্ট করতে হবে। বেআইনি বাড়ি, বিপজ্জনক বাড়ি ঠিক না করা হলে বাড়ি অধিগ্রহণ করা হবে।’ প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের জন্য বেশ কয়েকদিন প্রশাসনিক কাজকর্ম থমকে ছিল। তবে ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই অ্যাকশন মোডে মমতা। একের পর এক ইস্যুতে সরব তিনি। সে সরকারি জমি জবরদখল বা বেআইনি হকার সমস্যা যাই হোক না কেন।