বুধবার নবান্নে সাগরমেলা নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ মেলার পরিকাঠামো ও পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দপ্তরের সচিবরাও। থাকবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার। বৈঠকের আগে সাগরমেলার ব্যবস্থাপনা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এদিকে এ বার কুম্ভমেলা নেই। তাই মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গাসাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ঢল নামবে বলে ধরেই নিচ্ছে রাজ্য সরকার। আর তা মাথায় রেখেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসন সূত্রে খবর, ‘আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে লট নম্বর আট থেকে কচুবেড়িয়া ও নামখানা থেকে বেনুবন পয়েন্টে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করা হবে। গঙ্গাসাগর মেলায় আসা তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে কড়া নজর রেখে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ উল্লেখ্য, ১০ জানুয়ারি মেলা শুরু। তার ঠিক আগে ২৬ ডিসেম্বর ও ৬ জানুয়ারি দু’টি ভরা কোটালের জেরে সাগরতটে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। তা মাথায় রেখে সেচ দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ৯ থেকে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে সাগরমেলা উপলক্ষে ১০৩ জন মেডিক্যাল অফিসার থাকবেন মেলার বিভিন্ন প্রান্তে। এর মধ্যে ১৮ জন থাকছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এ ছাড়াও প্রয়োজনে অন্যান্য স্বাস্থ্যজেলা থেকে আনা হবে অতিরিক্ত চিকিৎসক। সাগর মেলার পাঁচটি পয়েন্টে থাকছে বিশেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়া, নারায়ণপুর পিএইচসি, বেনুবন, সাগরমেলা প্রাঙ্গণে থাকবে এই কেন্দ্রগুলি।