ছবি ও লেখা: সুস্মিতা মণ্ডল
ভ্রমণপিপাসুরা ব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতে খোঁজেন খোলা আকাশ, সবুজ, পাহাড়, পাখি, ড্যাম।কিন্তু অফিসে ছুটির টানাটানি, ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা, কখনও আবার পকেটের টান। সব মিলিয়ে দূরে যাওয়া আর বড় ট্রিপ বললেই হয় না।
ঠিক সে কারণেই কলকাতার আশপাশে অফবিট জায়গার খোঁজ বাড়ছে। তেমনই এক অপূর্ব সুন্দর জায়গা হল ঝাড়খণ্ডের ছোটাবাঁকি ড্যাম।
তিন দিক পাহাড় দিয়ে ঘেরা ড্যামটির আয়তনে বেশ ছোট। কিন্তু এর সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো। একদিকে ড্যাম, আর অন্যদিকে ড্যামের অতিরিক্ত জল চলে যাচ্ছে ঢাল বেয়ে।
ছোট বাঁকি হারলুং ড্যাম নামেও পরিচিত। এই বাঁধটি জামশেদপুর শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কিছুকাল আগে পর্যন্ত স্থানীয় লোকজনও এর অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন না হলেও এখন এই স্থানটি এখানকার মানুষের প্রিয় স্থানে পরিণত হয়েছে।শীত হলেই স্থানীয়রা এই এলাকায় পিকনিক করতে যান। দলমা পাহাড়ের মাঝে লুকিয়ে থাকা এই বাঁধটি পিকনিকের জন্য একটি আদর্শ জায়গা।
চাইলে পাহাড় বেয়ে ওপরে ওঠা যায়। শীতকাল এই জায়গায় ঘোরার জন্য আদর্শ হলেও, বর্ষায় যে কোনও ড্যামের রূপই বদলে যায়। বাঁধানো ড্যামটিতে রয়েছে একটি ছোট্ট ওয়াচ টাওয়ারের মতো জায়গাও।
আশপাশে কী কী দেখবেন
—
এখান থেকে চান্ডিল, পালনা, গালুডি ড্যাম ঘুরে নেওয়া যায়। ঘাটশিলা ঘুরে নেওয়া যায়। চলে যাওয়া রাঁচির দিকেও।এছাড়া ঘুরে নিতে পারেন জুবিলি পার্ক, গোলপাহাড়ি টেম্পল, জুলজিক্যাল গার্ডেন।
কীভাবে আসেবন?
জামশেদপুর থেকে:
ছোট বাঁকি পৌঁছনোর জন্য আপনি আপনার গাড়ি বা বাইক ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি ক্যাব বা অটোর মতো স্থানীয় পরিবহনও ব্যবহার করতে পারেন। জামশেদপুর শহর থেকে ছোট বাঁকি বাঁধের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।
কলকাতা থেকে:
আপনি যদি কলকাতা থেকে ছোট বাঁকি ড্যামে যেতে চান তবে আপনি সহজেই রেল এবং সড়ক উভয় পথেই পৌঁছতে পারেন। ট্রেনে এলে টাটানগর জংশনে নামতে হবে। তারপরে স্টেশন থেকে ছোট বাঁকি যাওয়ার জন্য একটি ক্যাব বা অটো ভাড়া করতে হবে। টাটানগর জংশন স্টেশন থেকে ছোট বাঙ্কি বাঁধের দূরত্ব হারলুং রোড হয়ে প্রায় ২২ কিমি।
কোথায় থাকবেন
—
জামশেদপুরে শাঁকচি-সহ একাধিক জায়গায় থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল আছে।