নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: প্রতি বছরের মতো এবছরও মহা ধুমধামে পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন রেল পুকুরে ছটপুজোর আয়োজন করা হয়।
রবিবার দুপুর ৩টে থেকেই পুজো উপলক্ষে ঘাটে ভিড় জমান ভক্তরা। পানাগড় বাজার সহ আশপাশের এলাকা থেকেও হাজার হাজার ভক্ত এদিন পুকুর ঘাটে ভিড় জমান। ছটপুজো উপলক্ষে রবিবার দুপুর থেকেই পানাগড় বাজারের স্টেশন রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুকুরের গোটা পাড়ে কড়া নজরদারিতে মোতায়েন ছিলেন কাঁকসা থানার পুলিশ ও রেল পুলিশের কর্মীরা। গোটা পুকুর ঘাটে সিসিটিভিতে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি বসানো হয় মেডিক্যাল ক্যাম্প,উপস্থিত ছিলেন পানাগড় ফায়ার ব্রিগেডের আধিকারিকরা, কাঁকসা পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা ও পানাগড় ছটপুজো কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল সহ কাঁকসা থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
ছটপুজো কমিটির সদস্য সঞ্জয় ঝাঁ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে রেল পুকুরে পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে। সূর্য অস্তের সময় পুজো পরের দিন সূর্য উদয়ের সময় সূর্যকে পুজো দেওয়া হয়। যেহেতু রেল পুকুরে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান, তাই গোটা পুকুর ঘাট গত ১৫ দিন ধরে সাফাই করা হয়। পুকুরের জল পরিষ্কার করার সঙ্গে পাড়ে মশা মারার তেল স্প্রে করার পাশাপাশি ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়।
রবিবার সারারাতব্যাপী রেল পুকুরের ঘাটে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন সকালে ছট ঘাট পরিদর্শন করেন বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। অন্যদিকে কাঁকসার পলাশডাঙায় মহা ধুমধামে ছটপুজোর আয়োজন করা হয়। কয়েকশো মানুষ এদিন ডিভিসির সেচখালের ঘাটে ছটপুজো করেন। অপর দিকে এদিন কাঁকসার দক্ষিণ ক্যানেলপারে মহা ধুমধামে ছটপুজোর আয়োজন করা হয়।
গত কয়েক বছর আগে লকডাউনের সময় থেকে প্রশাসনের উদ্যোগে ওই এলাকায় ছটপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই থেকেই মহা ধুমধামে ছটপুজো হয়ে আসছে। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁকসা পঞ্চয়েত সমিতির সদস্য দেবদাস বক্সি, কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শুক্লা সিং, কাঁকসা ব্লকের হিন্দি প্রকোস্ট সংগঠনের ব্লক সভাপতি কুলদীপ সিং, বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা সহ বিশিষ্টজনেরা।