ঘরের মাঠে জয়ে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস

ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসকে ৫ উইকেটে হারাল তারা। স্কোর বোর্ড দেখে অবশ্য ম্যাচের পরিস্থিতি বোঝা যাবে না। চেন্নাইয়ের মাঠে সেই পরিচিত পিচ। ব্যাটারদের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই মাঠে পরিচিত ছবি। যদিও এ মরসুমের শুরুর দিকে চেন্নাইয়ে সুবিধা পাচ্ছিলেন না স্পিনাররা। বরং পেসারদের দাপটই দেখা গিয়েছে। চাপে থাকা চেন্নাই ঘরের মাঠে চেনা পিচে ছন্দে। প্লে-অফের রাস্তা খোলা চেন্নাইয়ের। বেঙ্গালুরুতে মাঠে নামার আগেই বিদায় আরসিবির!

চেন্নাই বোলারদের অনবদ্য পারফরম্যান্স। ব্যাটিংয়ে অবশ্য সাময়িক প্যানিক হয়। শেষ ৪ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান। মনে হতেই পারে, এ আবার এমন কী কঠিন। কিন্তু পিচের যা পরিস্থিতি তাতে এই রান সহজে হওয়ার কথা ছিল না। চেন্নাই সুপার কিংস পাঁচ উইকেট হারানোয় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয় তরুণ ব্যাটার সমীর রিজভিকে।

ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এক দিক আগলে রাখলেও উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়ে। সমীরের অভিজ্ঞতা কম থাকায় চাপ ছিল। তবে সন্দীপ শর্মাকে একটি বাউন্ডারি মেরে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে দেন। মন্থর পিচে কী ভাবে খেলতে হয়, দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের। মাত্র ১৪২ রানের টার্গেট হলেও চেন্নাই সুপার কিংস খাবি খেয়েছিল। ঋতুরাজই ছিলেন ভরসা। কঠিন পরিস্থিতিতে স্নায়ুর চাপ সামলে রাখলেন তরুণ ব্যাটার সমীর রিজভি। ১৯ তম ওভারে পরপর দু-বলে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন এই তরুণ ব্যাটারই।

রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবলে তৃতীয় স্থানে উঠে এল চেন্নাই সুপার কিংস। আরসিবির কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ দিল্লি ক্যাপিটালসকে বিশাল ব্যবধানে হারানো। এরপর শেষ ম্যাচে চেন্নাইকেও হারাতে হবে। নজর রাখতে হবে সানরাইজার্স এবং লখনউ ম্যাচেও। আজ হারলে আর কোনও অঙ্কই থাকছে না আরসিবির জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 6 =