ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ২৭ রানের জয়। ধোনি-জাডেজার বিধ্বংসী জুটিতে দিল্লিকে ১৬৮ রানের লক্ষ্য দেয় চেন্নাই সুপার কিংস। চিপকের পিচে এই রান অনেকটাই বেশি। দিল্লি শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটি জিতেছিল। এই ‘নতুন’ দিল্লি ক্যাপিটালস চেন্নাইয়ের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি করলেও যথেষ্ঠ ছিল না। অক্ষর প্যাটেল দারুণ ফর্মে রয়েছেন। তবে তাঁকে ব্যাটিং অর্ডারে এত নীচে কেন নামানো হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া কঠিন। আস্কিং রেট বাড়তে থাকায় তাঁকে ঝুঁকি নিতেই হত। সিএসকে স্পিনাররা রান আটকালেন, পেসাররা উইকেট নিলেন। চিপকের পিচে স্পিনাররা সুবিধা পাবে এটাই প্রত্যাশিত। তবে পেসাররা স্লোয়ারের ব্যবহার ঠিক করতে পারলে সফল হবেন, বলাই যায়। মন্থর উইকেটে বড় শট খেলা কঠিন। টস জিতে তাই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। বোর্ডে বড় রান তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখাই লক্ষ্য ছিল। তবে অক্ষর প্যাটেল বোলিংয়ে আসতেই সিএসকে শিবিরে ধাক্কা। ডেভন কনওয়ে, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ভালো শুরু দিলেও দীর্ঘস্থায়ী হল না। সিএসকের দুই ওপেনারকে ফেরান দিল্লির বাঁ হাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। কুলদীপ যাদবও ভালো বোলিং করেন। চেন্নাইয়ের ৬জন ব্যাটার ২০-র ঘর পার করলেও ব্যক্তিগত কোনও বড় রান এল না। ১৭ ওভারে ১২৮-৬ স্কোর ছিল সিএসকের। শেষ অবধি ২০ ওভারে ১৬৭ রান তোলা সম্ভব হল মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রবীন্দ্র জাডেজার জুটিতে। মাহিকে ব্যাট হাতে নামতে দেখা এ বারের আইপিএলের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। সব ম্যাচে এমনটা দেখা যায়নি। তাই গ্যালারির অপেক্ষা ছিল মাহিকে দেখার। প্রতিটা মুহূর্তে গ্যালারিতে গর্জন। সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করলেন ধোনিও। হাঁটুতে চোট রয়েছে তাঁর। যদিও জাডেজার সঙ্গে রানিং বিটউইন দ্য উইকেটে কোনও ত্রুটি রাখেননি। মাত্র ১৮ বলে ৩৮ রান যোগ করে ধোনি-জাডেজা জুটি। ধোনি মাত্র ৯ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলেন। জাডেজা করেন ১৬ বলে ২১ রান। ধোনির ইনিংসে যেমন দলের প্রয়োজন পূরণ হল তেমনই গ্যালারির বিনোদন। এই পিচে দেড়শো প্লাস স্কোর তাড়া করা কঠিন। তার ওপর সিএসকে বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে শট খেলা সহজ নয়। প্রথম ওভারেই বড় ধাক্কা দেন দীপক চাহার। প্রথম ডেলিভারিতেই সুইংয়ের আভাষ। দ্বিতীয় বলে রাহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। নিজের দ্বিতীয় ওভারে সল্টকে ফেরান চাহার। সুইংয়ের কারণে ক্রিজ ছেড়ে খেলার লক্ষ্য ছিল সল্টের। যদিও তার আগেই ধোনি সামনে কিপ করা শুরু করেন। ক্রিজ ছেড়ে বেরনোর ঝুঁকি নেননি সল্ট। তাঁর মিস টাইম শট রায়ডু ক্যাচ নেন। পাওয়ার প্লে-তে আরও বড় ধাক্কা খায় দিল্লি। ছন্দে থাকা মিচেল মার্শ রান আউট। মণীশ পান্ডে রান নেওয়ার জন্য কল করলেও অনেক দেরীতে মানা করেন। দু-জনেই এক প্রান্তে দৌঁড়োন। রাহানে বল ধরে নিজেই বোলিং প্রান্তে দৌঁড়ে উইকেটে লাগান। শেষ দিকে রানের চাপ নিতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস৷