গত ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে ব্যাট হাতে নামতেই হয়নি মাহিকে। ব্যাটার ধোনিকে দীর্ঘ সময় দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা। দল চাপে, কনওয়ে আউট, এ সবের চেয়েও আনন্দ দিল ধোনির নামা। শেষ ৩ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের দরকার ৫৪ রান। ক্রিজে জাডেজার সঙ্গে ধোনি। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। কিন্তু হল না৷ ফরম্যাট যাই হোক, ক্যাচ মিস যে কোনও ম্যাচেরই রং বদলে দিতে পারে। চেন্নাই শিবিরে অস্বস্তি বাড়াল জোড়া ক্যাচ মিস। দুটিই মইন আলি স্লিপে মিস করেন। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর মাইলফলকের ম্যাচ। চেন্নাই সুপার কিংসকে ২০০তম ম্যাচে নেতৃত্ব দিলেন মাহি। গত কয়েক ম্যাচে সুযোগ দিয়েছেন তুষার দেশপান্ডেকে। এই ম্যাচে সুযোগ দিলেন আর এক তরুণ পেসার আকাশ সিংকে। অর্ধশতরান করেন বাটলার। অশ্বিন, দেবদত্ত পাডিকাল, হেটমায়ারদের অবদানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৫ রান করে রাজস্থান রয়্যালস। আবার অনবদ্য বোলিং রবীন্দ্র জাডেজার। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট। রান তাড়ায় চেন্নাই সুপার কিংসের শুরুটা মন্থর। ছন্দে থাকা ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ফেরেন মাত্র ৮ রানে। ডেভন কনওয়ের অ্যাঙ্কর ইনিংস। অজিঙ্ক রাহানে ১৯ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। পরপর শিবম দুবে, মইন আলি, অম্বতি রায়ডুদের উইকেট হারিয়ে ক্রমশ চাপে পড়ে চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাট হাতে রাজস্থানকে ভরসা দেওয়ার পর বোলিংয়েও অনবদ্য রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে জাডেজার সঙ্গে ধোনি যোগ দিতে গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস বাড়ে। শেষ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের লক্ষ্য ছিল ২১ রান। ক্রিজে জাডেজা-ধোনি থাকায় জয়ের স্বপ্নে বিভোর চেন্নাইয়ের গ্যালারি। বল করছেন সন্দীপ শর্মা। স্ট্রাইকে মহেন্দ্র সিং ধোনি। ওভার শুরু করলেন দুটি ওয়াইড বলে। এরপর ডট বল। তারপরই ধোনির জোড়া ছক্কা। সিঙ্গল নিয়ে ম্যাচ জিইয়ে রাখেন ধোনি, জাডেজা। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। ধোনি স্ট্রাইকে। তাই স্নায়ুর চাপ ধরে রাখা কঠিন যে কোনও বোলারের পক্ষেই। দারুণ ইয়র্কারে সিঙ্গল দিলেন সন্দীপ শর্মা। মাত্র ৩ রানে রুদ্ধশ্বাস জয় রাজস্থান রয়্যালসের।