অবশেষে জয় চেন্নাই সুপার কিংসের। টানা পাঁচ ম্যাচে হার থেকে ঘুরে দাঁড়াল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন। লখনউয়ের মাঠে ধোনি জিতলেন, জেতালেনও। ক্যাপ্টেন্সিতে, ব্যাটিংয়ে, ভালোবাসায়। ধোনি যে ভেনুতেই খেলুন না কেন, সেটা তাঁরই। লখনউয়ের হোম ম্যাচেও তার অন্যথা হল না। গ্যালারিতে হলুদ জার্সির সুনামি। মাঠেও দাপট। এতদিন যে সমস্যা ছিল, একধাক্কায় যেন সব উধাও। লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচ হারলেও লখনউয়ের গ্যালারি কিন্তু ধোনির জন্যই আনন্দে মাতোয়ারা।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে বড় স্বস্তি ক্যাপ্টেনের ফর্ম। গুরু বনাম শিষ্য। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্রধান শক্তি ছিল টপ থ্রি-র পারফরম্যান্স। এই ম্যাচে তা কাজে এল না। এইডেন মার্কর়্যামকে ফেরান খলিল আহমেদ। ছন্দে থাকা নিকোলাস পুরানের জন্য একে-৪৭। পুরানের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন অংশুল কম্বোজের। সাড়া দেননি অনফিল্ড আম্পায়ার। তাঁর আত্মবিশ্বাস দেখে ধোনিও রিভিউ নেন। সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমানিত হয়। মিচেল মার্শকে ফেরান জাডেজা। একদিকে ঋষভ পন্থ থাকলেও উল্টোদিক থেকে উইকেট নিতে থাকে চেন্নাই সুপার কিংস। একটি দুর্দান্ত বা বলা ভালো বুদ্ধিদীপ্ত রানআউটও করেন ধোনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে লখনউ।
দলে যে কিছু পরিবর্তন দরকার, সেটা সকলেই বুঝতে পেরেছিল। চেন্নাই সুপার কিংসের টপ অর্ডার ব্যাটিং অন্যতম মাথাব্যথা ছিল। তেমনই পাওয়ার প্লে বোলিং। দুটোই কিছুটা হলেও কমল। ওপেনিং জুটিতে ৫২ রান যোগ করেন রাচিন রবীন্দ্র এবং অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শেখ রশিদ। মিডল ওভারে রাহুল ত্রিপাঠী ও জাডেজার উইকেট হারালেও শিবম দুবের সঙ্গে অনবদ্য জুটি ধোনির। শিবম ৩৭ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ধোনি মাত্র ১১ বলে ২৬ রান।