দেশবাসীকে সেবার শপথ নিয়ে, মায়ের আদর্শকে পাথেয় করে ব্রিটেনের রাজসিংহাসনে বসলেন তৃতীয় চার্লস

মায়ের আদর্শকে পাথেয় করে পথচলা শুরু করলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের উত্তরসূরী। পরনে সাদা-কালো পোশাক, সামনে দপ্তরি কাগজপত্র, পাশেই মায়ের হাসিমুখ ছবি। লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে এভাবেই দেখা গেল ব্রিটেনের (UK) নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসকে (Charles III)। একেবারে নতুন রূপে।  শনিবার রাজপরিবারের নিয়ম মেনে রাজসিংহাসনে স্থলাভিষিক্ত করা হল। সেইসঙ্গে ৭০ বছরের এক যুগের অবসানে নতুন যুগের সূচনা হল। পাশাপাশি, চার্লসের জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেট মিডলটন ‘ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ ওয়েলস’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক পরিচয় পেলেন।

প্রস্তুতি সম্পন্নই ছিল। ঘড়িতে সময় তখন প্রায় বেলা ১১টা। এদিন রাজকীয় বন্দুকের গান স্যালুটের মাধ্যমে নয়া রাজাকে সম্মান জানানো হয়েছে। ব্রিটেনের হাউজ অব কমনসে রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে শপথ নেন সরকারে সিনিয়র সদস্যরা। হাউস অফ কমনসে রাজার শপথ অনুষ্ঠানে হাজির রাজপরিবারের সকলে। তিনি উচ্চারণ করলেন মায়ের নাম। ‘ডার্লিং মামা’ স্বর্গত মাকে স্মরণ করে চার্লসের ঘোষণা, তিনি মায়ের মতোই ভালবাসা আর সততার উপর ভর করে দেশবাসীকে রক্ষার দায়িত্ব নিলেন। অবশ্য শনিবারই তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে একথা বলেছিলেন।

রানি এলিজাবেথের (Queen Elizabeth III) মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন আবহেও কর্তব্যে কোনও খামতি নেই ব্রিটেনের কারও। এ যে পালাবদলের সময়। তা দ্রুত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেই হবে। সেইমতোই শনিবার সেন্ট জেমস প্যালেসে আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি, প্রিন্স উইলিয়াম ও ভাবী লিজ ট্রাসের উপস্থিতিতে সমস্ত রীতিনীতি মেনে ব্রিটেনের রাজার দায়িত্ব নিলেন তৃতীয় চার্লস।

৭০ বছর পর তিনি হলেন রাজা, ৭৩ বছর বয়সে। আর দেশের রাজা হয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘নিজের কর্তব্য সম্পর্কে খুবই সতর্ক। মায়ের অনুপ্রেরণায় বিভিন্ন কাজ করার জন্য যত লড়তে হয়, লড়ব। রাজপরিবারের নিয়ম অনুসারে প্রিন্স উইলিয়ম (Prince William) ও কেটকে ‘ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ ওয়েলস’ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী রাজা হবেন প্রিন্স উইলিয়ম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − thirteen =