কলকাতা: একাধিক মামলা হয়েছে একাধিক থানায়। গ্রেপ্তারির পর থেকে বারবার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির।এবার চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনল পুলিশ। বুধবার আদালেত সওয়াল জবাবের সময় বিধায়েকর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, সপাতালেও কেউ ভর্তি নেই, অথচ খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হচ্ছে কেন?
ভাঙড়ের বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীরা গ্রেপ্তার হওয়ার ২৫ দিনের মাথায় ২০ জনের বিরুদ্ধে ৩২ পাতার চার্জশিট পেশ করল লালবাজার। কলকাতা পুলিশের পেশ করা চার্জশিটে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে ভাঙরের বিধায়কের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও জনজীবন বিপর্যস্ত করা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিউ মার্কেট থানার দায়ের করা মামলায় নওশাদকে পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানান সরকারি কৌঁসুলি।পাল্টা নওশাদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ভাঙরের বিধায়কের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের করা হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলায় চার্জশিট হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। তা হলে নতুন করে তাঁকে আর হেপাজতে নেওয়ার প্রয়োজন হবে কেন। নওশাদের বিরুদ্ধে ৩০৭ নম্বর ধারায় হত্যার চেষ্টার অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর আইনজীবী। ব্যাঙ্কশাল আদালতে নওশাদ জামিনের আবেদন করেন। অন্য অভিযুক্তেরাও একই আবেদন করেন। এখনও পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারক। অন্য দিকে নওশাদের মুক্তির দাবিতে আদালত চত্বরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান কয়েক জন আইএসএফ সমর্থক।ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিতে পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে আইএসএফ বিধায়ক-সহ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতায় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। ওই দিন বিকেলে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের দাবি, শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকায় অফিসের সময়ে অবস্থান তুলে নিতে বলা হয়। কিন্তু আইএসএফের কর্মীরা তা অগ্রাহ্য করেই অবস্থান চালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁদের তুলতে গেলে হাতাহাতি শুরু হয়। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এর ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধর্মতলায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নওশাদের আর এক আইনজীবী শামিম আহমেদ এর আগে আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে নওশাদকে হেনস্তা এবং আইএসএফ সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ তুলেছিলেন।