কমিটির ভোটাভুটিতে অশান্তি! বাগবাজারের পুজো ঘিরে অনিশ্চয়তা

কলকাতা: পুজো কমিটির ভোটাভুটি ঘিরে অশান্তি। তার জেরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন বাগবাজারের পুজো নিয়ে।

ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে, শারদোত্সবের বাকি আর মাত্র একমাস। বাতাসে এখন পুজো পুজো গন্ধ। শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। দারুণ ব্যস্ত কুমোরটুলি। তবে, এই আবহেও  কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বাগবাজারের পুজোয় এখনও বাঁশও পড়েনি মাঠে। এবছর ১০৪-তম বর্ষে পড়ছে বাগবাজারের এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। কিন্তু পুজোর আগে হঠাৎ কমিটি গঠন নিয়ে ভোটাভুটিতে অশান্তির জেরে পুজোর ভবিষ্যৎ নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ১৯৩২ সালে সোসাইটি অ্যাক্টে নথিভুক্ত করা হয়েছিল বাগবাজারের পুজো। ১৯৯৬, ২০০৪, ২০০৬, ২০১০ সালে নির্বাচন হয়। ১২ বছর পর গত রবিবার বাগবাজারের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন হয়। সেই ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করেই তুমুল অশান্তি তৈরি হয়। অভিযোগ, ছেঁড়া হয় ব্যালট।এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী পার্থ রায় বলেন, “বহিরাগতরা ব্যালট ছিঁড়ে দিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গৌতম নিয়োগীর থেকে আমি কয়েক ভোটে এগিয়েছিলাম।” এদিকে গৌতম নিয়োগী দাবি করেন, শেষ গণনা পর্যন্ত তিনিই এগিয়েছিলেন। দু’জনের দ্বন্দ্বে পুজোর ভবিষ্যৎ কী, তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে বাগবাজারের পুজোয় ছেদ পড়ুক, তা চান না উদ্যোক্তা থেকে আমজনতা কেউই। জানা গিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত থাকলে ট্রাস্টকে দেওয়া হতে পারে পুজোর দায়িত্ব।

 

অশান্তির জেরে ক্ষুব্ধ বাগবাজার সার্বজনীনের প্রাক্তন সম্পাদক গৌতম নিয়োগী। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমি লজ্জিত। তবে চাই পুজো হোক।’ যে দুই গোষ্ঠীর অশান্তির জেরে এই পরিস্থিতি, তাদের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বন্দ্ব-বিদ্বেষ ভুলে দুর্গা আরাধনা হবে প্রতি বছরের মতোই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =