দমদম সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দির মৃত্যুতে উত্তাল নিউটাউন

দমদম সংশোধনাগারের বিচারাধীন বন্দি অশোক হালদার মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে নিউটাউন থানা অন্তর্গত সুলংগুড়ি কলোনি। কারণ, অশোকের পরিবারের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল তাঁকে। অশোকবাবুর পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি জেল হেপাজতে কাটানোর পর অশোকবাবু জামিনে পান আদালতে। তবে জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগেই গত ১৬ মার্চ মৃত্যু হয় তাঁর। সূত্রে খবর, সেদিন সকালে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করে অশোক। এরপর তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই মৃত্যু হয় অশোকের। এরপর শনিবার অশোকের দেহ ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর পাড়ায়। কারণ, সেখানেই বাড়ি মৃত অশোক হালদারের।
এদিকে সূত্রে খবর, নিউটাউন সুলংগুরি এলাকার বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সি অশোক হালদারকে গত ২৫ তারিখে গ্রেপ্তার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। অশোক ও তার বন্ধু বাবলু হাজরা পাওনার টাকা আদায়ের জন্য শঙ্করলাল যোশি নামে এলাকারই এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। আর এরপরই ওই কাঠব্যবসায়ী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে হাসপাতালেই পুলিশের কাছে বয়ানে অশোক ও বাবলুর নাম জানান ওই কাঠ ব্যবসায়ী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অশোক হালদারকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আদালত থেকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হলে তাকে পাঠানো হয় দমদম সংশোধনাগারে। এরপর আদালতের নির্দেশে জামিন পায় অশোক। কিন্তু জামিনে মুক্তির দিনেই সকাল ১০ টা নাগাদ পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন, অশোককে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় অশোকের। জামিনে মুক্তির সকালে সংশোধনাগারে কী হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই কাঠ ব্যবসায়ী শঙ্করলাল যোশীকেও এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 5 =