বুধবারই কলকাতায় পা রেখেছিল ভারতীয় ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার থেকে কুয়েত ম্যাচের জন্য অনুশীলনে নেমে পড়ল ইগর স্টিমাচের ছেলেরা। ৬ তারিখ প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচ। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ভরানোর ডাক দিয়েছেন ভারতীয় দলের হেডস্যার ইগর স্টিমাচ। গ্রুপ পর্যায়ে সুবিধাজনক জায়গায় নেই ব্লু টাইগার্স। কুয়েত ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে চান লিস্টন, মহেশরা। তবে সব ছাপিয়ে এই ম্যাচের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু একজনই। তিনি সুনীল ছেত্রী। বিদায়ী ম্যাচে তাঁকে জয় উপহার দিতে চান সতীর্থরা।
কুয়েত ম্যাচে সুনীল ছেত্রীর পা থেকে গোল দেখতে চান ভক্তরাও। ভারত অধিনায়কের নামের পাশে রয়েছে ৯৪ টি গোল। ১০০টি গোলের দোরগোড়ায় থাকলেও আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাচ্ছেন ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রী। ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির কথা তিনি ভাবছেন না। কুয়েত ম্যাচের পরই জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখবেন। ইতিহাসের খুব কাছে থেকেও আফশোস নেই সুনীলের। কুয়েত ম্যাচে ক্যাপ্টেনের পা থেকে গোল দেখতে চাইছেন সতীর্থরাও।
লালিনজুয়ালা ছাংতে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যতের মুখ হয়ে উঠতে পারেন। এ বছর ফেডারেশনের বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন। কুয়েত ম্যাচে সুনীলকে গোলের পাস বাড়াতে চান ছাংতে। মিজো ফুটবলারের কথায়, ‘সুনীল ভাইকে আমি সম্মানের চোখে দেখি। ২০১৫ সালে ভারতীয় দলে প্রথম ডাক পাওয়ার পর আমার সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলে। ওর মতো হওয়া একদমই সহজ নয়। ফুটবলার সুনীল কিংবা ব্যক্তি সুনীল- একেবারে অনন্য। কুয়েত ম্যাচ জিতে ওকে আমরা সম্মান দিতে চাই। সুনীল ভাইয়ের পা থেকে গোল দেখতে চাই। এর চেয়ে ভালো বিদায়ী ম্যাচ হতে পারে না। ওকে গোলের পাস বাড়াতে চাই। সেটা আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’