টাকা না দিলে এসএসকেএম-এ চিকিৎসা হয় না, এই মন্তব্যও করতে শোনা যায় তাঁকে। এবার এই মদন মিত্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খোলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জানান, ‘ভেন্টিলেটরের রোগীর ক্ষেত্রে নাম ‘এনলিস্ট’ করতে হয়। এরপর তা খালি হলে সেখানে রোগী ভর্তি করা হয়। বিষয়টি মদন মিত্রকে বলাও হয়েছিল হাসপাতালের তরফে। মদন মিত্র আমাকে রাত ১২টা ১৫-য় ফোন করেছিলেন, তার আগে করেননি। আমি খবর নিয়ে পুরো বিষয়টি জানি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে। আগে থেকে না জানিয়ে যদি কোনও ভেন্টিলেশন রোগীকে নিয়ে আসা হয় সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র মদন মিত্র এনেছেন বলে আলাদা করে কোনও সুবিধা তিনি পেতে পারেন না।’
পাশাপাশি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘সমস্ত রোগীর ক্ষেত্রে একই নিয়ম। মদন মিত্রের রোগী বলে অন্য কাউকে ভেন্টিলেশন থেকে নামিয়ে তাঁকে সেই জায়গায় দেওয়া সম্ভব নয়। যা করণীয় সবটা করা হয়েছে। কিন্তু, সাধারণ মানুষের উপর যে নির্দেশ লাগু হয় তা মদন মিত্রের রোগীর ক্ষেত্রেও এক। আগে থেকে এনলিস্ট না করে রোগীকে স্থানান্তরিত করা ঠিক হয়নি।’
এদিকে মদন মিত্র এসএসএকেএম-এ যে ‘দালাল চক্র’ চলার একটি অভিযোগ তুলেছেন, তারই প্রেক্ষিতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা কেন বলছেন আমি জানি না। তবে আমরা রোগীর কোনও রাজনৈতিক রং দেখি না। রোগীদের মধ্যে বৈষম্য করতে আমাদের নেত্রী শেখাননি। আমার দলের কারও আনা রোগী বলে কেউ বাড়তি কোনও সুবিধা পাবে না। সকলের জন্য নিয়ম এক।’
মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, শুভদীপ পাল নামক এক দুর্ঘটনায় আহত যুবককে শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যান মদন মিত্র। অভিযোগ, তাঁকে হাসপাতাল ভর্তি নিতে চাননি। রাতেই সংবাদ মাধ্যমে এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মদন। তিনি দাবি করেন ‘এসএসকেএম হাসপাতালে দালাল রাজ চলছে।’