ভগৎ সিং-এর নামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামকরণ করার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেছেন তিনি। এটাই এই বিমানবন্দরের নাম বদল করার প্রথম প্রস্তাব নয়। এর আগে ২০১৬ সালে হরিয়ানা বিধানসভায় একই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি লিখে এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হবে। আর এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীই জানালেন সেই সিদ্ধান্তের কথা। পঞ্জাব ও হরিয়ানা দুই রাজ্যের সরকারের সম্মততেই বদলে যাচ্ছে বিমানবন্দরের নাম।
প্রসঙ্গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল মোদির জন্মদিন। ওই দিন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে নামিবিয়া (Namibia) থেকে আনা ৮টি চিতাকে মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর অভয়ারণ্যে ছাড়েন প্রধামন্ত্রী মোদি। রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ চিতার প্রত্যাবর্তানে খুশি হয়েছেন। ৩০ কোটি ভারতীয় উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত।’ আরও জানান, একটি টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়েছে, যাঁরা চিতার দেখভাল করবে। বলেন, ‘আপনারা কখন চিতা দেখতে পারবেন তা টাস্ক ফোর্সের সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করছে।’ এইসঙ্গে দেশে চিতা নিয়ে ক্যাম্পেনের জন্য জনতার থেকে একটি নাম চান মোদি।
রবিবারের বক্তব্যে ভগৎ সিংকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, ৩ দিন পরে ২৮ সেপ্টেম্বর, দিনটি অমৃতমহোৎসবের জন্য বিশেষ দিন। ওইদিন দেশের বীর সন্তান ভগৎ সিংজির জন্মদিন।’ এরপরই মোদি জানান, কিছুদিনের মধ্যেই চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নাম হবে শহিদ ভগৎ সিং বিমানবন্দর। ২৫ সেপ্টেম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deen Dayal Upadhyaya) জন্মদিন। ভারতীয় জনসংঘের এই নেতাকে স্মরণ করে মোদি বলেন, ‘দীনদয়াল উপাধ্যায়জি আমাদের শিখিয়েছিলেন আধুনিক যুগেও ভারতীয় দর্শন গোটা পৃথিবীকে কীভাবে সঠিক পথ দেখাতে পারে। রাজনৈতিক ও সামাজিক উভয়ক্ষেত্রে।’
উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগে পঞ্জাবে ক্ষমতায় এসেছে আম আদমি পার্টির সরকার। সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান প্রথম থেকেই ভগৎ সিং-কে শ্রদ্ধা জানিয়ে দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেছেন। ভগৎ সিং-এর পৈতৃক বাড়ি যে গ্রামে সেই খাটকার কালানেই মানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আপ। অনুষ্ঠানের মঞ্চ ঢেকে ফেলা হয়েছিল বাসন্তী রঙে।