নিজস্ব প্রতিবেদন, ডানকুনি: কয়েকশো কোটি টাকার প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করলেন চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারা, এমনটাই দাবি পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনিতে গোডাউন ভাড়া করে প্রতারণার কারবার চলত বলে অভিযোগ। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে ডানকুনি থানা এলাকার চাকুন্দিতে এক ইন্ডস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের গোডাউনে হানা দেয় পুলিশ। অতর্কিত এই হানায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে চন্দননগর পুলিশ। অভিযোগ, বিদেশে বিভিন্ন গ্রাহকদের অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ধৃতরা। জানা গিয়েছে, ডানকুনি থানার আইসি তাপস সিনহার কাছে গোপন সূত্র মারফত আগে থেকেই খবর ছিল যে, ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে একটি গোডাউন ভাড়া করেছিল কয়েকজন যুবক। রাতের বেলা গাড়ি নিয়ে গোডাউনে ঢুকত। তারপর সারারাত ধরে লোক ঠকানোর কারবার চালিয়ে দিনের আলো ফোটার আগেই গোডাউন থেকে বেরিয়ে যেত তারা। রাত ৮টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত কাজ চলত সেখানে। পুলিশ সূত্রে খবর, কম্পিউটার মেরামতের কাজের কথা বলে ওই গোডাউনটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ওই গোডাউনের ভিতরের কাজকর্ম কেন শুধু রাতের বেলাতেই হয়, তা নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। গোপনে ওই গোডাউনের খোঁজখবর নিতে থাকেন আইসি। সেখানে কর্মরত যুবকদের গতিবিধির ওপরও নজর রাখা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিভিন্ন অনলাইন বিপণি সংস্থার ভুয়ো মেল থেকে লোভনীয় সব অফার পাঠানো হত বিদেশি নাগরিকদের কাছে। আর সেই টোপে পা দিয়ে লিঙ্কে ক্লিক করলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত বলে অভিযোগ। আরও জানা গিয়েছে, এই প্রতারণার কাজে একটি বড় চক্র জড়িয়ে রয়েছে। ডানকুনি থেকে দিল্লি পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় এই লোক ঠকানোর কারবারের এজেন্ট ছড়িয়ে রয়েছে ও এমন অনেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও সন্ধান মিলেছে বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এই প্রতারণার কারবারের সঙ্গে কয়েকশো কোটি টাকা জড়িয়ে রয়েছে, তা ধৃতদের কয়েক ঘণ্টার জেরাতেই উঠে এসেছে বলে দাবি পুলিশের।