নিজস্ব প্রতিবেদন, হুগলি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে চরম কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন,‘উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছেন বাংলার মানুষ। আর বিজেপির লোকদের হাইকোর্টে পাবেন। ওরা হাইকোর্টেই থাকবে। তৃণমূল কর্মীদের রাস্তায় পাবেন। সাধারণ মানুষের বাড়িতে পাবেন। শয়নে স্বপনে পাবেন তৃণমূল কর্মীদের। বিপদে পড়লে মানুষ তৃণমূল কর্মীদের সবসময় পাশে পান। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন।’
শনিবার পুড়শুড়ায় আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে হুগলি জেলার চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন বিজেপি নেতাদের তীব্র কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি পুড়শুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে তীব্র আক্রমণ করেন। বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই এলাকার বিধায়ক বিমান। ওনাকে রাস্তায় পাওয়া যায় না। ওনাকে আকাশে পাওয়া যায়, তাই উনি বিমান। তাই ওনাকে নিয়ে মন্তব্য করব না।’ রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাত প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা বলবেন। সাধারণ মানুষ সব বুঝতে পারছে। কে বা কারা রাজ্যপালকে দিয়ে এইসব করাচ্ছে, কি নির্দেশ দিচ্ছে, তা সবই জানেন সাধারণ মানষ। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন গুণগ্রাহী কর্মী ও ফ্যান। পুড়শুড়ায় ভোটের প্রচার এসেছি। বাংলার মানুষ ২০০৮ সালের পর এত অবাধ মনোনয়ন কোথাও দেখেননি। যে কাজগুলো বাকি রয়েছে তার মূল কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা’
যদিও পুড়শুড়ায় ভোট প্রচারে এসে বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন পুড়শুড়ার বিধায়ক সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিমান ঘোষ। তিনি বলেন,‘ইন্দ্রনীলবাবু যে কথাগুলো বলছেন সেটা ওনাদের দলের সিস্টেম। একটা সময় ভাড়া করা নেতাকে নিয়ে এসে পুড়শুড়ার বিধানসভা ভোটে লড়াই করানো হয়েছিল। ২৮ হাজার ভোটে পুড়শুড়ার মানুষ হারিয়েছেন। চোর চিটিংবাজদের জন্য তিহাড় জেলই যথেষ্ট। ভাড়া করা মানুষকে পুড়শুড়ার লোক পছন্দ করেন না। তৃণমূলের নেতা বিধায়করা এসব কথা বলেন, যাতে তাঁদের দুর্নীতিগুলি ঢাকা পড়ে যায়’ শনিবার নির্বাচনী প্রচারে বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে ছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান জয়দেব জানা সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা।