বৃহস্পতি-শুক্রে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর

বেশ গরমে কাহিল শহরবাসী। এরই মধ্যে আশার কথা শোনাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রাজ্যে রয়েছে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় আগামী বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতাতে নেই। শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.১ ডিগ্রি সেলসিয়ায়, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম এবং রবিবার সকালে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৭ শতাংশ। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে মরশুমের প্রথম কালবৈশাখীর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আগামী বৃহস্পতি এবং শুক্রবার। এই দুই দিন পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলির কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কিছুটা কমতে পারে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে রবিবার পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়া এবং সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রার পারদ। আপেক্ষিক আর্দ্রতার জন্য বাড়তে পারে অস্বস্তিও।

শুʼধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও ঝড় বৃষ্টির একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মালদা, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুলিতে বৃষ্টিপাতের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। তবে উত্তরবঙ্গের জেলার ক্ষেত্রে তাপমাত্রার বিশেষ হেরফেরের কোনও সম্ভাবনা নেই।

এদিকে, উত্তর কর্নাটক পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। একইসঙ্গে রয়েছে পূবালি হাওয়ার প্রভাবও। আর এই দুইয়ের কারণেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন এলাকাতেও রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। সেখানে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। একইসঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − five =