আসানসোল কাণ্ড পৌঁছাল কলকাতা হাই কোর্টে

আসানসোল কম্বল কাণ্ড এবং তা নিয়ে পদপিষ্টের ঘটনায় এবার জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী এবং বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই হেনস্থা করার জন্যই এমন করা হচ্ছে বলে দাবি তোলেন জিতেন জায়া। আদালত সূত্রে খবর, বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

এদিকে গত বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, আসানসোল পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিবচর্চায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুষ্ঠানে কম্বল নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান তিনজন। সেই ঘটনায় উদ্যোক্তা ও আয়োজকদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। ওই সভার অন্যতম উদ্যোক্তা ও আয়োজক হিসেবে এফআইআর-এ নাম রয়েছে পাণ্ডবেশ্বেরর প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির। সঙ্গে নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারিরও। জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ।

এদিকে সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আসানসোলের ঘনশ্যাম অ্যাপার্টমেন্টে চৈতালির ফ্ল্যাটে যায় রাজ্য পুলিশের একটি বিশেষ দল। তবে তালাবন্ধ ছিল ওই ফ্ল্যাট। বাড়িতে ছিলেন না কেউ। এরপরই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন চৈতালি তিওয়ারি। অন্যদিকে, ফ্ল্যাটে পুলিশি অভিযানের পর তাৎপর্যপূর্ণ ট্যুইট করেন বিজেপি নেতা জিতেন তিওয়ারি। ওই ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘বাংলা ছেড়ে আমি কোথাও যাব না। এই বাংলার মাটিতেই আমার জন্ম হয়েছে, বাংলা মায়ের কোলেই মৃত্যুবরণ করব। আসানসোলের তৃণমূল নেতারা যা পারে করুক।’ এদিকে কোনও অনুমতি না নিয়ে সেখানে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বলে দাবি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের। এদিকে আবার বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়, যে মাঠে ৫০০ জন লোক ধরার জায়গা নেই সেখানে কম্বল দেওয়ার জন্য ৫ হাজার লোককে কুপন দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 2 =