কম্বল কাণ্ডে দু ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চৈতালি তিওয়ারিকে, হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ স্বামী জিতেন্দ্রর

আসানসোল কম্বল কাণ্ডে পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। শনিবার সকাল ১০ টা নাগাদ চৈতালি তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এদিন তাঁর আসানসোলের বাড়িতে পৌঁছায় সাত সদস্যের দল। এরপর টানা দু’ঘণ্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদের পালা। এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির। অভিযোগ করেন, জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে চৈতালি তিওয়ারিকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। এটা পুলিশ করেছে তৃণমুল কংগ্রেসকে খুশি করতে। আজ কিছু তৃণমুল কংগ্রেসের নেতা দুটো রুটি বেশি করে খাবেন। তাঁর দাবি, হাইকোর্ট একমাত্র এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইওকে জেরা করার কথা বলেছিল। কিন্তু এদিন সাতজন অফিসার আমার ঘরে চৈতালিকে জেরা করেছে। যা হওয়া উচিত ছিল না। হাইকোর্ট ২ ঘণ্টা জেরা করার কথা বলেছিল। তা বলে ২ ঘণ্টাই জেরা করতে হবে বলে প্রশ্ন তোলেন জিতেন্দ্র অধিকারী। একইসঙ্গে এ প্রশ্নও তোলেন, একজন মহিলাকে এইভাবে জেরা করা যায় কি না তা নিয়েও।  সঙ্গে জিতেন্দ্র এও জানান, ‘চৈতালি তিওয়ারি তো ক্রিমিনাল নয়।’ সঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি এও জানান, ‘ওই জেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন চৈতালি তেওয়ারি। জানি না, আর পুলিশ জেরা করতে আসবে কিনা। তবে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সোমবার ২ ঘণ্টা পুলিশ জেরা করতে আসতে পারে। ‘ জিতেন্দ্র অধিকারীর অভিযোগ, ‘পুলিশ হেনস্থা করেছে আমার স্ত্রীকে।  এদিকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার তদন্তকারী অফিসার বা অন্য অফিসাররা কোন মন্তব্য করতে চাননি। চৈতালি তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদের করার সময় ঘনশ্যাম অ্যাপার্টমেন্টকে কার্যত পুলিশি ঘোরাটোপে  রাখা হয়েছিল। চারদিকে দেওযা হয় লোহার ব্যারিকেড। চৈতালি তিওয়ারি যে আবাসনে থাকেন সেখানে সাংবাদিকদের জেরা করার সময় ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, দু’দিন আগে নোটিস পাঠানো হয়েছিল চৈতালির বাড়িতে। কিন্তু তিনি বাড়ি না থাকায় পুলিশকে ফিরে আসতে হয়। ইতিমধ্যেই আদালত নির্দেশ দিয়েছে, চৈতালিকে পুলিশি তদন্তে সাহায্য করতেই হবে। হাইকোর্টের রক্ষাকবচও পেয়েছেন চৈতালি। শুক্রবার তৃতীয়বারের জন্য ওই নোটিস চৈতালি তিওয়ারির আবাসনের দরজায় সাঁটিয়ে দিয়ে আসে পুলিশ। নোটিসে বলা হয়, শনিবার যেন চৈতালি বাড়িতে থাকেন। সেই মতো বাড়িতে ছিলেন তিনি।

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − two =