কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় রাজ্য এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন

রবিবার সকাল থেকে টুইটে বাকযুদ্ধ চলছিল কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের মধ্যে। তবে বেলা বাড়তে এবার এই তরজা এক অন্য মাত্রা নিল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াংক কানুনগো উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণের পর। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াংক কানুনগো এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্ধ করে বলেন, ‘একজন অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য অযোগ্য সরকারের আচরণ নিয়ে কাজ করা কোনও অযোগ্য সংস্থার বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’ সূত্রে খবর, রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এমনটাই মন্তব্য করেছেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন।
এখানেই শেষ করেননি প্রিয়াংক কানুনগো। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘পুলিশ এখনও মৃতার পরিবারের লোকের বয়ান নেয়নি। সেটা পরিবারের লোকেরাই আমাকে জানিয়েছেন। পরিবারের লোকজনের বয়ান না নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো প্রশাসনের পক্ষে ঠিক না।‘
পাশাপাশি এও জানান, ‘সকালে গিয়ে মৃতার বাড়ির লোক, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি ও রেকর্ড করেছি। দুদিন আগেই এই কেসের যিনি ইনভেস্টিগেটিং অফিসার ছিলেন ও যে ডাক্তার পোস্টমর্টেম করেছে, পাশাপাশি এই কেসের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তাদের দেখা করার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কেউ দেখা করেননি। অপেক্ষা করছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে তারপরেই আপনাদের বাকি সব জানাতে পারব।’
এদিকে কালিয়াগঞ্জে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রবিবার জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা যান মৃতা কিশোরীর বাড়ি। কমিশনের সদস্যরা কথা বলেন মৃতার পরিবারের সঙ্গে। এদিকে শনিবারের পর রবিবারও মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় মৃতার পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, রাজ্য পুলিশ ঠিক মতো তদন্ত করছে না। তাই তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। যাতে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পায়।
এরই রেশ ধরে মৃতার এক আত্মীয়াও জানান, ‘রাজ্য পুলিশ রিপোর্টের মধ্যে আত্মহত্যার উল্লেখ করেছে। এটা আমরা মানব না। এটা পুরোপুরি মিথ্যে। যে ছেলেটা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাঁর কঠোর শাস্তি চাই। ওর সঙ্গে আরও যে যে সহায়তা করেছে, সবার শাস্তি চাই। এই কাজ রাজ্য পুলিশকে দিয়ে হবে না। তাই আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে দিয়েছি। রবিবার সকালে কমিশনের যে যে সদস্যরা দেখা করতে এসেছিলেন, আমরা তাঁদের এসব ঘটনা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 8 =