প্লে-অফের দৌড়ে আরও একটা লাইফলাইন পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পীযুষ চাওলা, হার্দিক পান্ডিয়ার অনবদ্য বোলিংয়ের পর সূর্যকুমার যাদবের সেঞ্চুরি। শুধুমাত্র মুম্বই শিবিরেই নয়, চিন্তার মেঘ ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যেও। খোড়াচ্ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। চোট মুক্ত সূর্যকুমারকে পাওয়া খুবই জরুরি ভারতের কাছে। ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার যাদব অবশ্য আস্বস্ত করলেন, কোনও চোট নয়, শুধুই ক্লান্তি।
গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে চোট পেয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। দীর্ঘ কয়েক মাস রিহ্যাব চলে। আইপিএলেও শুরুর দিকে তাঁকে পায়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতলেন। কৃতিত্ব প্রাপ্য বোলারদেরও। সানরাইজার্সের মতো বিধ্বংসী দলকে মাত্র ১৭৩ রানে আটকে রাখা সহজ নয়। সানরাইজার্স ইনিংসে সব মিলিয়ে ১৮টি মাত্র বাউন্ডারি (চার-ছয় মিলিয়ে)। যেখানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ইনিংসে স্কাই একাই ১৮টি বাউন্ডারি। এর মধ্য়ে ১২টি চার ও ৬টি ছক্কা।
চোট প্রসঙ্গে সূর্যকুমার যাদব বলেন, ‘খুব ভুল না হলে গত ১৪ ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ২০ ওভার ফিল্ডিং করলাম এবং ১৮ ওভার ব্যাটিং। সে কারণেই ক্লান্তি কাজ করছিল। কোনও চোট চিন্তা নেই এটুকু নিশ্চিত করতে পারি।’ মাত্র ৫১ বলে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাঁর কিছু শট দেখে যে কেউ বলবেন, এগুলো সূর্যর পক্ষেই খেলা সম্ভব। দীর্ঘ সময় পর যেন সেই পরিচিত সূর্যকুমার যাদবকে দেখা গেল।
পুরস্কার বিতরণে সঞ্চালক সঞ্জয় মঞ্জরেকর বিভিন্ন শট প্রসঙ্গে সূর্যকে প্রশ্ন করেন। হাসি মুখে স্কাইয়ের জবাব, ‘মুম্বই ßুñল অব ক্রিকেটেই এই সব শট শেখা। মুম্বইয়ের হয়ে এত বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছি। তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমাকে শেষ অবধি থাকতেই হত। এই মানসিকতা নিয়েই ব্যাট করছিলাম। শিশিরের প্রভাব ছিল, বল সিম হচ্ছিল। তাই যে সমস্ত শট এতদিন ধরে প্র্যাক্টিস করেছি, সেগুলো খেলার চেষ্টা করেছি।’