ধৈর্য ধরে ক্রিজে থাকলে রান করা সম্ভব। ভারতীয় ইনিংসে লোকেশ রাহুল সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন। একই কাজ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক ডিন এলগারও। কেরিয়ারের শেষ টেস্ট সিরিজ খেলছেন। এরপরই অবসর। তার আগে ভারতের বিরুদ্ধে এই সিরিজ স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া এলগার। যা ভারতীয় টিমের কাছে মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেঞ্চুরিয়নে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিন অনেকটাই এগিয়ে প্রোটিয়ারা। সৌজন্যে ডিন এলগারের অনবদ্য ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরি ছাড়া ভারতীয় ব্যাটিংয়ে তেমন কিছু প্রাপ্তি নেই বললেই চলে। দীর্ঘ সময় পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন রাহুল। তাও আবার নতুন ভূমিকায়। ওপেনার থেকে এখন তিনি মিডল অর্ডার ব্যাটার। সঙ্গে কিপিংয়ের দায়িত্ব। প্রথম ইনিংসে ভারতের শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন লোকেশ রাহুল। তাঁর ১০১ রানের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ২৪৫ অবধি পৌঁছয় ভারত। বোলারদের ওপর ভরসা রেখে বলা যায়, এই রানটা খুব কম নয়। তবে এরপরই বলতে হয়, ভারতীয় বোলিং লাইন আপে মহম্মদ সামি নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। মাত্র ৫ রানেই ফেরেন এইডেন মার্কর্যাম। নতুন স্পেলে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন জসপ্রীত বুমরা। টোনি ডি জর্জিকে ফেরান। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা গত সিরিজে নজরকাড়া কিগান পিটারসন সেঞ্চুরিয়নের প্রথম ইনিংসে দাপট দেখাতে ব্যর্থ। জসপ্রীত বুমরার অনবদ্য ডেলিভারিতে প্লেড অন হন কিগান। ওপেনার ডিন এলগারের সঙ্গে বড় জুটি গড়েন অভিষেককারী ডেভিড বেডিংহ্যাম। অভিষেক ম্যাচে হাফসেঞ্চুরিও করেন।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া লড়াই করলেও ভারতের ফিল্ডিংয়ে এদিন প্রচুর ফাঁক ধরা পড়েছে। তেমনই কিপার রাহুলের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। প্রথম বার টেস্ট ক্রিকেটে গ্লাভস হাতে নেমেছেন। মানিয়ে নিতে সময় লাগবে, পরিষ্কার ধরা পড়ল। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে একাই ১৪০ রানে অপরাজিত রয়েছেন ডিন এলগার। তৃতীয় দিন ভারতীয় বোলারদের প্রথম টার্গেটই থাকবে এলগারের উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা লিড নিয়েছে। সেটা যাতে বাড়তে না পারে, সবার আগে এলগারের উইকেট চাই।