হনুমান জয়ন্তীর আগে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যকে একটি অ্যাডভাইসারি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই অ্যাডভাইসারিতে হনুমান জয়ন্তীর প্রস্তুতি এবং হনুমান জয়ন্তীর কোনও অনুষ্ঠানে যাতে কোনও অশান্তি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যগুলিকে সতর্কও করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দেওয়া এই অ্যাডভাইসারিতে এও বলা হয়েছে, ‘এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা, শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালন করা, সমস্ত বিষয় যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করতে পারে তা যাতে না ঘটে সেই সব বিষয়ে নজর রাখতে হবে রাজ্যগুলিকে।‘ উল্লেখ্য, রাম নবমীতে বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের একাংশ অশান্ত হয়েছিল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হনুমান জয়ন্তীর আগে এই অ্যাডভাইসারি জারি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দুই হাজার আবেদন জমা পড়েছে হনুমান জয়ন্তীর জন্য। এই প্রেক্ষিতে ৬ এপ্রিল যাতে রাজ্যে কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাম নবমীর দিন একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার শিবপুর। পরবর্তীতে রিষড়াতেও একটি ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয় রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে অভিযোগের আঙুল তোলেন স্যাফ্রন ব্রিগেডের দিকেই। পাশাপাশি এও বলেন, বহিরাগতদের নিয়ে এসে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সঙ্গে এও বলেন, ‘বাংলার মানুষ অশান্তি পছন্দ করে না। তাঁরা শান্তি চায়।’ উল্টোদিকে পালটা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার হনুমান জয়ন্তীর অনুমতি সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছে। বাংলায় যে সমস্ত এলাকায় অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।