ফের এক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ে হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হল। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার নাম। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করানো হবে কিনা প্রশ্ন উঠলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখবে আদালত। মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এও জানান, ‘কোর্ট তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে চিন্তিত নয়। কোর্ট একটা সত্য উদঘাটনের জন্য তথ্য চাইছে। আদপে এই মামলা রাজ্যের হাতে থাকবে নাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিতে হবে সেই বিচার করবে আদালত।’ এদিকে এই মামলায় মামলাকারীরা সিবিআই ও ইডি-র তদন্ত দাবি করেছেন। তাদের দাবি, বিষয়টি চাকরি বিক্রির।
এখানে একটা ব্যাপার উল্লেখ করতেই হয়, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সমস্ত মামলার তদন্তভারই এখন দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। হয় তার তদন্ত করছে সিবিআই নতুবা ইডি। এদিকে এরই মধ্যে সামনে এসেছে নদিয়ার তেহট্টের প্রভাবশালী বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ। সেই অভিযোগে এও জানানো হয়েছে, ‘টাকার বিনিময়ে দমকল সহ বাকি সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন পদে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, চাকরির বিনিময়ে ১৬ কোটি টাকা তুলেছেন বিধায়ক।’ এদিকে আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এই এই মামলার শুনানিতে রাজ্য তাঁর বক্তব্য জানাবে। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই ধরনের চাকরি বিক্রির অভিযোগে এখন একাধিক মামলার তদন্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি করছে। তাই এই ক্ষেত্রেও তদন্তের দায়িত্ব নিতে আপত্তি নেই তাদের।
এর আগেও তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে টাকা নিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি দেওয়ার। এই অভিযোগ সামনে আসার পরই তদন্ত শুরু করে রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা। এই ঘটনায় নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে ২০২২-এর ২৯ এপ্রিল তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে গ্রেপ্তারও করে অ্যান্ট করাপশন ব্রাঞ্চ। গ্রেপ্তার করা হয়, প্রবীর কয়ালের দুই সহযোগী শ্যামল কয়াল ও সুনীল মণ্ডলকেও। আদালতে এও দাবি করা হয়, বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পায় এসিবি। তবে দুর্নীতি দমন শাখা ওই মামলায় চার্জশিট না দেওয়ায় তিনজন জামিন পেয়ে যায়।