কলকাতা: কলকাতা-সহ জেলায় সাড়ম্বরে পালন হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দর জন্মতিথি। ১৯৮৪ সালে ভারত সরকার দিনটিকে ন্যাশনাল ইয়ুথ ডে বা জাতীয় যুব দিবস ঘোষণা করেছিল। তারপর থেকে সাড়ম্বরে দিনটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। দিনটি তরুণদের মধ্যে নতুন করে বিবেকানন্দের আদর্শ ও বাণীর প্রচার করার প্রচেষ্টা।
স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মতিথিতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দকে জন্মদিনে প্রণাম। তাঁর দেশভক্তি, আধ্যাত্মিকতা, কর্মঠ জীবন সবসময় প্রেরণা দেয়। তাঁর মহান বিচার বিবেচনা ও আদর্শ দেশবাসীকে আজীবন অনুপ্রাণিত করবে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘বিবেকানন্দের জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধা। তাঁর পথ চলার মন্ত্র, মানবিকতা প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে।’
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলুড় মঠে উদযাপিত হচ্ছে বিবেকানন্দের জন্মতিথি। যুবদিবস উপলক্ষে সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেরিয়েছে। বিভিন্ন ßুñলের পড়ুয়া অংশ নিয়েছে সেই শোভাযাত্রায়। বেলুড়মঠে সকাল থেকেই পুজো, মন্ত্রসঙ্গীত। ধ্বনিত হচ্ছে বিবেকানন্দের জীবনবাণী।
এদিন সকালেই কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজীর বাড়িতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। পর্ণশ্রী এলাকার বিবেকানন্দ কাননে বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়, বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ও।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন এলাকা নিজের মতো করে পালন করছে জাতীয় যুব দিবস। জাতীয় যুব দিবস পালন করল কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। সকাল থেকে মঠে বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এলাকার বহু মানুষ,ছাত্র ও এনসিসি ক্যাডারদের নিয়ে শুরু হয়েছে শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় অংশ নেন মঠের মহারাজরাও। কামারপুকুর মঠ থেকে কামারপুকুর চটি পর্যন্ত এই শোভাযাত্রা হয়।
রাজ্যের সমস্ত রামকৃষ্ণ মিশন ও স্কুলে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। পালন করা হয় বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন ও স্কুলের পক্ষ থেকেও।চুঁচুড়ার হুগলি জেলা শ্রীরামকৃষ্ণ সেবা সংঘ,ইমামবাজার শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ ভক্ত সংঘ ও প্রবুদ্ধ ভারত সংঘ মিলিত ভাবে দিনটি পালন করছে। বিকানন্দের ভক্ত এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ইমামবাজার থেকে পদযাত্রা শুরু করে বারোদুয়ারী,পিপুলপাতি, হাসপাতাল রোড হয়ে রথতলায় পৌঁছয়। হুগলি বিনোদিনী বালিকা বিদ্যায়লের শিক্ষক পড়ুয়ারা স্বামীজির জন্মদিন পালন করছে। স্কুলের মাঠ থেকে শুরু করে শহর প্রদক্ষিণ করে তাদের শোভাযাত্রা শেষ হয় ঘুটিয়াবাজার স্কুলে।