কলকাতা: ইডি হেপাজতে কারও কোনও আবদারেই পাত্তা দেওয়া হয়নি। তবে জেল হেপাজতে তুলনায় একটু স্বস্তিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সংশোধনাগারে অন্যান্য বন্দিদের মতোই রয়েছেন তাঁরা। তবে, সোমবার সন্ধ্যায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাছোড়বান্দা আবদারে তাঁকে নাকি তেলেভাজা দেওয়া হয়। অন্য দিকে, ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ উদ্ধারের পর মডেল-অভিনেত্রী এখন জনতার চর্চায়।
তবে নাকি, শোনা যাচ্ছে জেলের সহ বন্দিরা তাঁর পুরনো সিনেমা দেখায় তাঁকে সেলিব্রিটির আসনেই বসিয়েছেন। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এখন আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে রয়েছেন। সেখানে সহবন্দিরা কেউ কেচে দিচ্ছে জামাকাপড়, কেউ আবার পেতে দিচ্ছে বিছানা। সংশোধনাগারের ২ নম্বর ঘরে প্রথম দিন একাই ছিলেন তিনি। সারারাত কান্নাকাটিও করেছেন। কিন্তু সময় যত পেরিয়েছে ছবিটা বদলেছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে আরও ২০ বন্দির সঙ্গে একঘরে রয়েছেন অর্পিতা। তাঁর সহবন্দিরা অনেকেই অর্পিতাকে সিনেমায় দেখেছেন। ফলে মডেল-অভিনেত্রীকে নিয়ে তাঁদের মধ্যে উন্মাদনার অন্ত নেই। সারাদিন নাকি বাকি ২০ বন্দি ঘিরে রাখছেন অর্পিতাকে। রীতিমতো সেলিব্রিটির মতোই রয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো খাবারের আবদার করছেন অর্পিতাও। শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই নাকি নিরামিষ খেয়েছেন তিনি। যা তাঁর মোটেও পছন্দ নয়। সেই কারণে সোমবার আইনজীবী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি আমিষ খাবারের আবদার জানিয়েছেন। তবে জেলে নির্দিষ্ট নিময় মেনে খাবার দেওয়া হয়, ফলে তাঁর আবদার আদৌ মানা হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পথে হেঁটে বই-ও চাইছেন অর্পিতা। জেলে যাওয়ার পর থেকেই খবরের কাগজ, বই চেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, এমনটাই সূত্র মারফত খবর।
অর্পিতার আইনজীবী সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে মায়ের জন্য ও নেল আর্ট পার্লারের কর্মীদের নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অর্পিতা। মায়ের দেখভাল হবে কী করে, কর্মীরা বেতন পাবেন কী করে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তিনি। তবে তাঁর মানসিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।