যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোথায় সিসিটিভি বসছে তা নিয়ে সামনে এল তথ্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ইনস্টলেশনের জন্য ইতিমধ্যেই টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। এবার কোথায় কোথায় ক্যামেরা বসানো হবে তার বিস্তারিত তথ্য সামনে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। আপাতত সূত্রে খবর, ২৯টি ক্যামেরা বসছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ক্যামেরা ইনস্টলেশনের যে লোকাশন পাওয়া গেছে তাতে মেইন ক্যাম্পাসের গেট নম্বর ১-এ বসছে ২টি ক্যামেরা বুলেট। গেট নম্বর ২-এ বসছে আরও ২টি ক্যামেরা বুলেট। গেট নম্বর ৩-এ বলছে ১টি এএনপিআর ক্যামেরা ও ২টি ক্যামেরা বুলেট। গেট নমব্র ৪-এ নজরদারি চালানো হবে ১টি এএনপিআর ক্যামেরা ও ২টি ক্যামেরা বুলেটের মাধ্যমে। গেট নম্বর ৫-এ বসছে ২টি ক্যামেরা বুলেট।

অন্যদিকে ছেলেদের হস্টেলের গেটে বসছে ১টি এএনপিআর ক্যামেরা ও ২টি ক্যামেরা বুলেট। পাশাপাশি মেয়েদের হস্টেলের গেটে বসছে ৩টি ক্যামেরা বুলেট। অন্যদিকে সল্টলেক ক্যাম্পাসে মেইন গেটেও থাকছে ১টি এএনপিআর ক্যামেরা ও ২টি ক্যামেরা বুলেট। একইভাবে ক্যাব গেটেও বসছে ১টি এএনপিআর ক্যামেরা ও ২টি ক্যামেরা বুলেট। আর ছেলেদের হস্টেলের গেটে বসছে ৩টি ডোম ক্যামেরা।

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে অর্থ বরাদ্দ করার খবর ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে রাজ্যের তরফে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়। মোট ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৮৪ টাকা বরাদ্দ করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। ওই চিঠিতে এও বলা হয় যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাস গেট, হোস্টেল গেট ও সল্টলেক ক্যাম্পাস গেটে সিসিটিভি নজরদারির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানোর দায়িত্বে রয়েছে ওয়েবল।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি না থাকায় বিভিন্নমহল থেকেই উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। এই বিষয়ে সক্রিয় হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে ঘুরেও যায় ইউজিসির প্রতিনিধি দল। যদিও সিসিটিভি বসানোর দাবি মানতে রাজি নন পড়ুয়াদের একাংশ। তবে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ অবশ্য দায়িত্বভার গ্রহণের পরেই সিসিটিভি বসানোর পক্ষে মত দেন।

প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিগত বেশকিছুদিন ধরেই সরগরম হয়ে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বাংলার শিক্ষামহলে। ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। ব়্যাগিংয়ের জেরেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বেশকয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনার নেপথ্যে আরও কেউ জড়িত কি না,সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − eight =