বোর্ডের পরীক্ষা চলাকালীন শৌচালয়ে গিয়েছিলেন ছাত্রী। বেশ কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের এপিজে ßুñলে। প্রাথমিকভাবে অনুমান দ্বাদশের ওই ছাত্রী আত্মহননের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কেন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরীক্ষা নিয়ে প্রবল উৎকণ্ঠা থেকে ওই ছাত্রী এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না, তাও দেখা হচ্ছে।
সিবিএসই-এর দ্বাদশের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। আদিত্য অ্যাকাডেমির দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সিট পড়েছিল সল্টলেকের এপিজে ßুñলে। পরীক্ষা দিতে সাড়ে দশটার সময় ßুñলে যান ওই ছাত্রী। দুপুর দেড়টায় ১.৩০টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কুড়ি মিনিট আগে শৌচালয়ে যাবেন বলে ক্লাস থেকে বের হন ওই ছাত্রী। জানা গিয়েছে বেশ কিছুক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও ছাত্রী না ফেরায় খোঁজ করা হয়। তখনই শৌচাগার থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শিক্ষিকাদের বয়ান অনুযায়ী, বাথরুমের ভিতরে গলা নলি এবং হাতের শিরা কাটা অবস্থায় পড়ে ছিলেন ওই ছাত্রী। মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তারপর থেকে আর ক্লাসে ফিরছিল না ওই ছাত্রী। সন্দেহ হওয়ায় শিক্ষিকারা বাথরুমের দিকে খোঁজ করেন। ছাত্রীকে দ্রুত উদ্ধার করা হয়। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর পূর্ব থানায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কীভাবে এই ঘটনা তা নিয়ে সন্ধিহান শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পুলিশ কর্তারাও। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মহননের চেষ্টা করেছে ওই ছাত্রী। কিন্তু কেন, তা স্পষ্ট নয়। পরীক্ষা নিয়ে প্রবল উৎকণ্ঠা থেকে ওই ছাত্রী এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না, তাও দেখা হচ্ছে। ßুñলের তরফ থেকে ছাত্রীর পরিবারকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।