কলকাতা: গোরু পাচার থেকে কয়লা, দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে জোরকদমে তদন্ত চলছে। এ রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট-দেরও ডাক পড়ছে তদন্তের স্বার্থে। এই দুই মামলা নিয়ে যখন হইচই তখন বদলি করা হল সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের যুগ্ম অধিকর্তা এন বেণুগোপালকে। কয়লা ও গোরু পাচার তদন্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ওই পদের দায়িত্বে এলেন রাজেশ প্রধান। রাজেশ প্রধান ২০০৩ সালের আইপিএস ক্যাডার। সূত্রের খবর, ডিআইজি পদ মর্যাদার এই অফিসারকে ডেপুটেশনের ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের যুগ্ম অধিকর্তা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। হায়দরাবাদ জোনের নতুন যুগ্ম অধিকর্তার পদে বদলি করা হয়েছে বেণুগোপালকে। বেণুগোপালের পাশাপাশি যুগ্ম অধিকর্তা (নীতি) অমিত কুমারকেও বদলি করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর।
রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি মামলা হল, কয়লা ও গোরু পাচার । এই দু’টি হেভিওয়েট মামলার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন বেণুগোপাল। সূত্রের খবর, গত বছর জুন মাসে সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের যুগ্ম অধিকর্তার পদে বসার পর থেকেই এই দুটি মামলার তদন্তভার সামলাচ্ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে, তদন্তের মাঝপথে তাঁর বদলির জেরে কয়লা-গরু পাচার মামলার তদন্তের নতুন মোড় নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
জানা গিয়েছে, অতীতে গরু এবং কয়লা পাচার মামলার দায়িত্বে ছিলেন সিবিআইয়ের কলকাতা জোনেপ যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। গত বছর জুন মাসে বদলি করা হয় পঙ্কজকে। সেই পদে আসেন বেণুগোপাল। এ বার তাঁকে বদলি করা হল।
গোরু পাচার মামলায় গত বছরের অগস্টে তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলক গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মুহূর্তে তিহাড়ের জেলে রয়েছেন অনুব্রত। অন্য দিকে কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। স্বভাবতই, তদন্তের মাঝপথে সিবিআই কর্তার বদলি ঘিরে তৈরি হচ্ছে নানা জল্পনা।