প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই সিবিআই-কে হাইকোর্টের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হয়, তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে। পাশাপাশি এ প্রশ্নও করা হয়, এই তদন্তের সত্য খুঁজতে আর কতদিন সময় লাগবে সে ব্যাপারেও। পাশাপাশি এ প্রশ্নও উঠে আসে, কত দ্রুত তদন্ত শেষ করতে পারবে কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থা তা নিয়েও।
এরপরই আদালতে সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, অভিষেক- কুন্তলের চিঠি সম্পর্কিত তদন্ত প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ হয়েছে। পাশাপাশি এও জানানো হয়, জেলের সিসিটিভি ফুটেজ আদালতের কাছে রয়েছে। সেটা না পেলে তদন্ত শেষ করা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ২ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও আদালতে এদিন দাবি করা হয় সিবিআইয়ের তরফ থেকে। এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন, জেলে কুন্তল ঘোষের ওপর নজর রাখবেন জেল সুপার। কুন্তল ঘোষের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করবেন জেল সুপার। আদালত চাইলে সেই ফুটেজ পেশ করতে হবে। এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রথমে কুন্তল ঘোষকে জেলের যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেখানে কোনো সিসিটিভি ছিল না। পরে যেখানে স্থানান্তর করা হয় সেখানে সিসিটিভি ছিল।
এরই পাশাপাশি ইডি-র তরফ থেকে তাদের আইনজীবী দাবি করেন, এখনও পর্যন্ত ৩০০ কোটি দুর্নীতির সন্ধান পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি-র এই দাবির পরই পাল্টা প্রশ্ন করে বিচারপতি ইডি-র আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ইডি-র যে সব আধিকারিক এই দুর্নীতির তদন্ত করছেন তাঁরা আদৌ দক্ষ কি না তা নিয়েও। উত্তরে ইডি বেশ প্রত্যয়ের সঙ্গে জানায়, ‘নিশ্চয়ই’। পাশাপাশি ইডি-র তরফ থেকে এদিন এও জানানো হয়, একমাস পরে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করবে তারা।