৯/১১-র যে জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠেছিল সারা বিশ্ব ঠিক তেমনই ২০২৩-এর ৯/১১-তে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়া কিছু তথ্য আদালতে পেশ করবে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। খুব স্পষ্টভাবে বললে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই-এর আইনজীবীর ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের’ মতো ২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের টেট পরীক্ষার সুবিশাল নিয়োগ দুর্নীতির বহু তথ্য সামনে আনার কথা ছিল। সিবিআইয়ের এই বার্তা থেকে শুরুও হয় জল্পনার। এদিকে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। তবে এদিন মামলা শুনলেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ, একজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে, তাই এদিন নিয়োগ দুর্নীতির মামলা শোনেননি তিনি। এদিকে এদিন এজলাসে সিবিআই এর আইনজীবী বলেন, ‘সমাজের বৃহত্তর অংশের এব্যপারে আগ্রহ আছে। তাই মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দেব।’
এদিন এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য এও জানান, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্কে এই রিপোর্টে আরও বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে পারে। এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জেরে এই মামলা বিলম্বিত হচ্ছে। আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘৯/১১ শুধু ধ্বংসের দিন নয়। এদিন স্বামীজি শিকাগোয় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাই সত্যি সামনে আসবেই।’
এরই রেশ টেনে সিবিআই-এর আইনজীবী এও উল্লেখ করেন, কীভাবে মন্ত্রীর সচিব সব ডিলিট করেছিলেন চাপে পড়ে, সেই তথ্য সামনে আসবে। চাপে পড়ে এমন কোন তথ্য মুছে ফেলতে হয়েছিল মন্ত্রীর সচিব, রিপোর্টে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে বলে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান।
এরই পাশাপাশি সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, পার্থকে নিয়ে অজানা তথ্য থাকবে রিপোর্টে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যোগ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই-এর আইনজীবী এও উল্লেখ করেন, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল পার্থর দফতরে। ফলে সবার নজর এখন মঙ্গলবারের সিবিআই-এর রিপোর্টের দিকেই।