সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগে ফের তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে প্রকল্প বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তবে ২০২১ সালের মে মাসে লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর তিন ছেলেমেয়ের বিরুদ্ধে ওঠা মামলা বন্ধ করে দেয়।দাবি করা হয়, যাদব পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ হাতে না পেয়েই মামলা গুটিয়ে ফেলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।এরপর ২০২১-এর অগাস্টে বিহার রাজনীতিতে ঘটে বড় পরিবর্তন। নীতীশ কুমার বিজেপি ছেড়ে ফের একবার আরজেডি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন।এরপর বিহারে উপমুখ্যমন্ত্রী হন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। আর এখানেই বিরোধীদের অভিযোগ এই কারণেই ফের একবার পুরনো মামলায় নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। এদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, লালু প্রসাদ যাদব ছাড়াও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব সহ যাদব পরিবারের আরও দুই সদস্যের নাম রয়েছে এই তালিকায়। এই দুইজন হলেন তেজস্বীর দুই দিদি ছন্দা এবং রাগিনী। যদিও যাদব পরিবার অবশ্য প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকরা করে আসছে। পশুখাদ্য কেলেঙ্করিতে দোষী সাব্যস্ত লালু প্রসাদ যাদব আপাতত জামিনে রয়েছে।এদিকে ডিসেম্বরের শুরুতে সিঙ্গাপুরে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রথম ইউপিএ সরকাররে আমলে ২০০৪-২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। রেলমন্ত্রী থাকার সময় প্রকল্প বরাদ্দে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ।অভিযোগে জানানো হয়, রেলের কাজের বরাত দেওয়ার পরিবর্তে রিয়েল এস্টেস্ট সংস্থার থেকে দক্ষিণ দিল্লিতে একটি বাড়ি নেন লালু প্রসাদ যাদব।এও শোনা যায়, ওই এস্টেস্ট সংস্থার একটি শেল কোম্পানির নামে প্রায় ৩০ কোটি টাকা দামের ওই সম্পত্তি অনেক কম দামে কেনা হয়। পরে মাত্র চার লাখ টাকার বিনিময়ে ওই কোম্পানি লালু প্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজস্বী সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে করা হয়।এই ঘটনারই প্রেক্ষিতে দায়ের হয় এই মামলা। তবে ২০২১ সালে এই মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেয় সিবিআই। দেড় বছরের বেশি সময় পর আবার শুরু হল সেই তদন্ত। এদিকে পুরনো মামলায় ফের তদন্ত নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও।