বৃহস্পতির সকালে ফের সিবিআই হানা শহরে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে এদিন সকালে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালানোর জন্যই সিবিআই আধিকারিকেরা হানা দিয়েছেন সেখানে। সূত্রে খবর, এদিন সকালবেলা নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই-এর দু’টি দল বের হয়। দুটি গাড়ি করে তাঁরা পৌঁছয় পাটুলিতে বাপ্পাদিত্যর বাসভবনে। গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরাও।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, পার্থ-র হাত ধরেই রাজনীতিতে আসা বাপ্পাদিত্যর। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মানসপুত্র বলেই চিহ্নিত করা হয় তাঁকে। গত বছর পার্থর গ্রেফতারি নিয়ে গত বছর মুখ খুলেছিলেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রাক্তন মন্ত্রীর এ হেন বিলাস বহুল বাড়ি ও তাঁর ঘর থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, তিনি স্তম্ভিত। জানা যায়, আগে ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড নামে যে সংস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাজ করতেন, সেই সংস্থাতেই এইচআর হিসেবে কর্মরত ছিলেন বাপ্পাদিত্য। সেখান থেকেই আলাপ। পার্থ-র কাছ থেকে কাজ শিখেছেন বলেও জানান কাউন্সিলর। এরপর বয়সে অনেকটাই বড় পার্থ-র হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ তাঁর। কার্যত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই ‘মেন্টর’ হিসেবে মানতেন তিনি। এই তৃণমূল কাউন্সিলর সেই সময়ে এও জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাদার। তাই এই ঘটনায় তাঁর গোটা পরিবারই স্তম্ভিত।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরনিগমের মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য। পার্থর গ্রেফতারির পর থেকেই গোয়েন্দাদের র্যাডারে ছিলেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। এদিকে সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কাউন্সিলের পাটুলির তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা হাজির হওয়ার পর বাড়ির কলিং বেল বাজালেও প্রায় ২০ মিনিট সিবিআই আধিকারিকদের বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এদিকে পাশের বাড়ির ছাদেও উঠতে দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের। কিছুক্ষণ পর তৃণমূল কাউন্সিলর নিজেই দরজা খুলে সিবিআই আধিকারিকদের ভিতরে নিয়ে যান।
এদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য দাবি করেছেন, সিবিআই-কে সব রকমভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। যা যা নথি চাওয়া হবে তা গোয়েন্দাদের দেখানো হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বাড়িতেই রয়েছেন বাপ্পাদিত্য। তাঁর সামনেই প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে দেখছেন গোয়েন্দারা।