রবিবার সকালে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। সঙ্গে শুরু হয় তল্লাশি আর ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকেরা পৌঁছে যান তাঁর বাড়িতে। ফিরহাদের বাড়িতে পা রেখেই প্রথমে কেন্দ্রীয় তদন্ত আধিকারিকেরা নিয়ে নেন তাঁর মোবাইল। পরে তাঁর ঘরে প্রবেশ করে ফাইলপত্র ঘেঁটে দেখা হয় বলে সূত্রের খবর। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতেও চলেছে তল্লাশি। এরই সঙ্গে এদিন পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফিরহাদের বাড়িতে প্রথমবার চলে সিবিআই তল্লাশি। সূত্রের খবর, এক আমলাযোগেই রাজ্যের রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে আতস কাচের তলায় রাখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বৃহস্পতিবারও বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা মধ্যেই ছিল জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায় নামে এক আমলার বাড়িও। ওই আমলার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, এই জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ডিরেক্টরেট অব লোকার বডিজ-এর ডিরেক্টর। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এই ডিরেক্টরেট অব লোকার বডিজ বা ডিএলবি- পুরসভাগুলির নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এরাই সিদ্ধান্ত নেয় নিয়োগের ক্ষেত্রে বরাত কাকে দেওয়া হবে। এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই আমলার বাড়িতে এমন কিছু নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে, যা থেকে সন্দেহ বেড়েছে বলেই সূত্রের খবর। আর সেখান থেকেই এ প্রশ্নও উঠেছে পুর নিয়োগে ডিএলবি-র যোগ থাকলে মন্ত্রী কিছুই জানবেন না, সেটা আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে। সেই কারণেই আচমকা ফিরহাদের বাড়িতে সিবিআইয়ের এই হানা বলে সূত্রে খবর।
তবে এদিনের এই সিবিআই অভিযান প্রসঙ্গে ফিরহাদ-কন্যা প্রিয়দর্শিনী সোশ্যাল মাধ্যমে লেখেন, ‘আমি আগেও বলেছি। এখনও বলছি। আমরা কোনওভাবে ভীত নই, এই ধরনের তল্লাশির ক্ষেত্রে। আমরা কোনও কিছু লুকিয়ে রাখতে চাই না।’