নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এস বসু রায় কোম্পানিতে সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল

ফের এস বসু রায় কোম্পানিতে হানা সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দলের। ওমএমআর সংক্রান্ত সার্ভার ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের তথ্য পেতে সিবিআই ফের এই তল্লাশি চালায় বলে জানা গিয়েছে। এস বসু রায় কোম্পানি থেকে সার্ভার সহ যে সব ডিভাইস পাওয়া গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই৷ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পরেই তাঁদের আশঙ্কা, সার্ভার থেকে ডেটা ডিলিট করা হয়ে থাকতে পারে। সেই ডিলিট করা তথ্যই পেতে মরিয়া সিবিআই।
অর্থাৎ, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এবার ওএমআর সিট খুঁজতে আরও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। সিবিআই সূত্রে খবর, এবার ওএমআর শিট দুর্নীতি-কাণ্ডে সার্ভার সহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ফরেন্সিক এক্সামিনেশন জন্য পাঠাতে চলেছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এ দাবিও করা হয়েছে, সার্ভার ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে বেশ কিছু ডেটা ডিলিটের আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই এগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওযা হয়েছে। আর এই পদ্ধতিতেই ডেটা ফির পাওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেই জানানো হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, সাইবার এক্সপার্ট যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা খতিয়ে দেখে অনুমান করছেন, প্রমাণ নষ্ট করার জন্য সার্ভার থেকে ডেটা ডিলিট হয়ে থাকতে পারে। তাই তা ফরেন্সিক এক্সামিনেশন জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
আর সেই কারণেই বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি টিম দক্ষিণ কলকাতায় এস বসু রায় কোম্পানিতে আসে। সেখানে তল্লাশি চলে বেশ কিছুক্ষণ। সিবিআইয়ের অনুমান, সার্ভারগুলি থেকে বেশ কিছু তথ্য ডিলিট করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুটি সার্ভার উদ্ধার করা হলেও আরও সার্ভার রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সেগুলো খতিয়ে দেখতে আবারও সিবিআই আধিকারিকেরা যান ওই কোম্পানির অফিসে।
সার্ভার গুলিতে কী কী ডেটা বা তথ্য ডিলিট হয়েছে, কারা ডিলিট করল বা কেন বা কী উদ্দেশে ডিলিট করা হল এই সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য জানতে তৎপর সিবিআই। সিবিআইয়ের অনুমান, এর পিছনে বড় কোনও হাত রয়েছে! হাইকোর্ট নির্দেশে সিবিআইকে ওএমআর খোঁজার নির্দেশ দেয়। সেই অনুসারে, মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালায় সিবিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 7 =