আইআরসিটিসি মামলায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়িদেবীর বাড়িতে সিবিআই

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সিবিআই-ইডি- অতি সক্রিয়তা নিয়ে চিঠি পাঠানোর পর পরই জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি-তে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে তেজস্বীর মা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়িদেবীর পাটনার বাড়িতে হাজির সিবিআই আধিকারিকেরা। আইআরসিটিসি-র দুর্নীতি মামলায় সোমবার সিবিআই-এর প্রশ্নের মুখে পড়েন রাবড়ি দেবী।

এদিকে সূত্রে খবর, এদিন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ি দেবীর পাটনার বাসভবনে যান ১২ সদস্যের সিবিআই-এর টিম। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব ওই সময় বাড়িতেই মা-র সঙ্গে ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন বিহারের বন ও পরিবেশমন্ত্রী তথা তেজস্বীর ভাই তেজপ্রতাপও। এদিন সিবিআইয়ের এই টিম লালু-রাবড়ির বাসভবনে পৌঁছতেই সেখানকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হল বিশাল পুলিশ বাহিনী।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত কংগ্রেস পরিচালিত প্রথম ইউপিএ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। অভিযোগ, এই সময়কালের মধ্যে বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি-তে নিয়োগ করা হয়। ঘটনায় নাম জড়ায় লালু-পত্নী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর। এছাড়াও এই মামলায় লালু-রাবড়ির দুই মেয়ে মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে গত বছরের জুলাই মাসে ভোলা যাদবকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। । লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে ছিলেন এই ভোলা যাদব। এরপর গত বছরের ১০ অক্টোবর এই মামলায় চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম ছিল মোট ১৬ জনের। এই ১৬ জনের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর. এই মামলার এফআইআর-এ লালু, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, মেয়ে মিসা ছাড়াও সেন্ট্রাল রেলের জেনারেল ম্যানেজার সৌম্য রাঘবন ও প্রাক্তন সিপিও কমল দীপ মাইনরাইয়ের নাম রয়েছে। অন্যদিকে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় লালুপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে তলব করেছিল দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ আদালত। এই দু’জন ছাড়াও আরও ১৪ জনকে তলব করা হয়। আগামী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সমস্ত অভিযুক্তকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক গীতাঞ্জলি গোয়েল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + twelve =