অভিজিৎ সরকারের মামলায় এক মাসের মধ্যেই ফের বদল হল তদন্তকারী অফিসার। ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত একই মামলায় এই নিয়ে চার বার অফিসার বদল হল। মিঠুন বিশ্বাস নামে এক আধিকারিককে নতুন দায়িত্ব দিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই অভিজিতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ওই আধিকারিক, এমনটাই সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, মাত্র মাসখানেক আগেই তদন্তকারী আধিকারিক বদল করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রথমে এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন অজয় কুমার নামে এক সিবিআই অফিসার। দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পান আর এক অফিসার জ্ঞানী। গত ১ মার্চ ফের অফিসার বদল হয়। বিবেক রঞ্জন রায়কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার দায়িত্ব পেলেন মিঠুন বিশ্বাস। মাত্র ২ বছরের মধ্যে একটি মামলায় কেন চার বার অফিসার বদল করা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
শুধু তদন্তকারী আধিকারিকই নন, এই মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর সরকারি আইনজীবীও বদল করা হয়। এছাড়া গত বছর এই মামলায় সিবিআই-এর আইনজীবীও বদল করা হয়েছিল। প্রথমে আইনজীবী ছিলেন ফিরোজ এডুলজি। পরে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে কে মণ্ডল নামে এক আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয় এই মামলায়।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনই মৃত্যু হয় কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। এরপরই এই ঘটনার তদন্তভার কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্তভার গেলেও বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তোলেন অভিজিৎ-এর দাদা বিশ্বজিৎ। অভিযোগ ওঠে, মূলত অভিযুক্তরা অধরা রয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
এদিকে এই মামলায় আদালতে বারবার ধাক্কা খায় সিবিআই। তার জেরেই আইনজীবী বদল করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এদিকে, অভিজিৎ-এর মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালীনই বিচারকের সামনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিৎ সরকারের মা। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ, আদালত নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বললেও, কেবল সিভিক পুলিশ বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁর মা। সে কারণেই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি।