২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটে চাকরি প্রাপকদের বিস্তারিত তথ্য পর্ষদের কাছে জানতে চাইল সিবিআই

২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে কারা চাকরি পেয়েছেন তা বিস্তারিত জানতে চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে একটি চিঠি পাঠানো হল সিবিআই-এর তরফ থেকে। এদিকে এই চিঠি পাওয়ার পরই তথ্য জোগাড় করার তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে পর্ষদের তরফ থেকেও এমনটাই সূত্রে খবর। এমনকী এই মর্মে জেলায় জেলায় স্কুলশিক্ষা বিভাগে চিঠিও পাঠিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্যদ।
গত ৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ দেয় ২০১৪ সালে টেট পাশ করে কারা প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নাম-জন্ম তারিখ-বাবার নাম-মোবাইল নম্বর-স্কুলের নাম সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে। এই নির্দেশের ওপর ভিত্তি করেই এবার পর্ষদকে এই চিঠি পাঠানো হল সিবিআইয়ের তরফ থেকে। সেখানে বলে হয়েছে, ২০১৪ সালে টেট পাশ করে কারা প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নাম-জন্ম তারিখ-বাবার নাম-মোবাইল নম্বর-স্কুলের নাম সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে পর্ষদকে। সমগ্র নথি জমা করতে হবে নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় সিবিআই-এর দপ্তরে। শুধু তাই নয়, দ্রুত এই প্রক্রিয়া শেষের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি চিঠিতে এও জানানো হয়েছে যে, শুধু চাকরিপ্রাপকদের বিস্তারিত তথ্য নয়, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত জারি হওয়া ২০১৬-২০১৭-২০১৮ সালের বিজ্ঞপ্তিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিতে হবে। কারণ, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার ষড়যন্ত্রকারীদের একটা বড় অংশ। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতেই সামনে আসছে নিয়োগ দুর্নীতির আরও বড় সব ঘটনা যার শাখাপ্রশাখা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হুগলির যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারির পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁদের জেরা করে উঠে এসেছিল অয়ন শীলের নাম। প্রাথমিক ভাবে প্রোমোটার হিসেবে সবাই জানলেও পরে তদন্তে সামনে আসে তিনি শুধু শিক্ষা নয়, একাধিক সরকারি চাকরির দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আর সেই সব অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয় তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + sixteen =