টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ব্রিজ অ্যান্ড রুফসের এক কর্তা সহ সাতজনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের হাতেনাতে পাকড়াও করল সিবিআই। সূত্রে খবর, দেশের নানা জায়গায় হানা দিয়ে ২৬.৬০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই তল্লাশির তালিকায় রয়েছে কলকাতা, দিল্লি, নয়ডা, মুম্বই, নাগপুর, রাজকোট সহ বিভিন্ন জায়গা। এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ টাকা টাকা টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ বাবদ তোলা হয়েছিল।
এদিকে সূত্রের খবর, ব্রিজ অ্যান্ড রুফ নামক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এক কর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওড়িশার একটি বেসরকারি স্কুলের নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে ঘুষ চাওয়া হয়। সঙ্গে এও খবর মিলেছে যে, এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত ছিল।
পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, ব্রিজ অ্যান্ড রুফ নামক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এক কর্তার হয়ে ঘুষ চান আরও একজন। ঘুষ বাবদ ২০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বেসরকারি সংস্থাটি। এই ঘুষের খবর পাওয়ার পরে ফাঁদ পাতে সিবিআই। হাওয়ালার মাধ্যমে এই টাকা কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। এই লেনদেনের সময়ই সিবিআই পাকড়াও করে অভিযুক্তদের। ১৯ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকাও বাজেয়াপ্তও করা হয়। সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে, ওই ঘুষের টাকার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ব্রিজ অ্যান্ড রুফের সিএমডি আশিস রাজদান। তারপরই আশিস সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারী অফিসাররা।