বীরভূম: আবারও সক্রিয় সিবিআই। গোরু পাচার কাণ্ডে বোলপুরে সিবিআই এর তৎপরতা তুঙ্গে, শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি গেস্ট হাউসে সিবিআই এর দুই অফিসার ডেকে পাঠান ব্যাংকের আধিকারিক ও তৃণমূল নেতাদের। সেই নির্দেশ মেনেই পূর্বপল্লি সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে মঙ্গলবার বোলপুরের অ্যাক্সিস ব্যাংকের এক আধিকারিক নথিপত্র নিয়ে সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। পরে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি গেস্ট হাউস সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আধুল করিম খান সিবিআই-এর তলবে দেখা করেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে। এর আগে ৩ অগস্ট নানুর থানার বাসাপাড়া গ্রামে আধুল করিম খানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়, সিবিআই শিবিরের অস্থায়ী ক্যাম্পে দেখা করায় পরিস্থিতি কোনও দিকে যায় সেই দিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল। এদিন শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের দিদি ও জামাইবাবুর বাড়িতে হানা দিলেন সিবিআই এর অফিসারেরা। দু’জন সিবিআইয়ের অফিসারের পাশাপাশি একজন ব্যাংকের মহিলা কর্মীকে নিয়ে গেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। প্রায় ঘণ্টা খানেক অনুব্রত মণ্ডলের দিদি শিবানী ঘোষ ও জামাইবাবু কমলকান্ত ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। প্রসঙ্গত, বোলপুরের ভুবনডাঙায় শিবশম্ভু রাইস মিল রয়েছে শিবানী ঘোষের। এই চাল কল কেনার সময় কি প্রক্রিয়ায় হয়েছে? সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সিবিআই এর পক্ষ থেকে। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রামের বাড়ি হাটসেরান্দি গ্রাম ঢোকার মুখে জমি কেনেন অনুব্রত মণ্ডলের জামাইবাবু কমলকান্ত ঘোষ। এই জমি ও চালকল কেনার ক্ষেত্রে গোরু পাচারের টাকা ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা।