দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ফের একবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়াকে রবিবার তলব করে সিবিআই। তবে সিসোদিয়ার চিঠি পাওয়ার পর অবশেষে তাঁকে এদিন হাজির হতে হবে না বলেই জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ফলে স্বস্তিতে মণীশ সিসোদিয়া। প্রসঙ্গত, রবিবারই সিবিআইয়ের সদর দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। এর আগে শনিবার নিজেই সিবিআই তলব ও তদন্তে সহযোগিতার কথা জানালেও রবিবার সকালে সিসোদিয়া সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন জানান। সূত্রের খবর, হাজিরার জন্য এক সপ্তাহের সময় চান দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি কবে নাগাদ সিবিআই দপ্তরে তিনি যাবেন, এদিন তাও স্পষ্ট করেছেন কেজরিওয়ালের ডেপুটি। এদিন এই প্রসঙ্গে এও জানান, ‘ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ আমাকে ডাকতে পারে সিবিআই। তখন হাজিরা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।‘ এদিন সিসোদিয়ার পাঠানো এই চিঠি সিবিআই অধিকর্তার কাছে পাঠানো হয়। পরে তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে নতুন করে কবে তাঁকে তলব করা হবে, তা এখনও জানায়নি সিবিআই।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত পর্যন্ত সিবিআই দফতরে হাজিরা নিয়ে নিশ্চিত থাকলেও, রবিবার সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের কাছে একটি চিঠি আসে। মণীশ সিসোদিয়ার তরফেই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে, চিঠিতে হাজিরার জন্য তিনি এক সপ্তাহ চান তিনি। পাশাপাশি এও জানান, ‘গ্রেপ্তারির ভয় আমি হাজিরা এড়াচ্ছি, সেটা ভাবা কিন্তু ভুল হবে। আমার কোনও ভয় নেই। তবে আমি তদন্তে সব রকমের সহযোগিতা করব।’
এদিকে শনিবারই মণীশ সিসোদিয়া নিজে টুইট করে জানান, আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই ফের একবার তাঁকে তলব করেছে। রবিবার তাঁকে সিবিআইয়ের সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। এরপরই তিনি টুইটে লেখেন, ‘সিবিআই আমায় আবার ডেকেছে। আমার বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডির সমস্ত ক্ষমতা ব্যবস্থা করেছে। আমার বাড়ি তল্লাশি করেছে, ব্য়াঙ্কের লকার তল্লাশি করেছে, কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই মেলেনি। আমি দিল্লির শিশুদের জন্য সুশিক্ষার ব্যবস্থা করেছি শুধু। ওরা আমাকে থামাতে চায়। আমি সর্বদাই তদন্তে সহযোগিতা করেছি এবং আগামিদিনেও তা করব।’
এরপরই রবিবার সকালে তিনি জানান, দিল্লি সরকারের অর্থমন্ত্রী তিনি। বর্তমানে তিনি আসন্ন ২০২৩-২৪ সালের রাজ্য বাজেট প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত। তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আস্থা দিতেই তিনি বলেন, ‘এটা দিল্লির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।‘ প্রসঙ্গত, বর্তমানে উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের পাশাপাশি দিল্লির অর্থ দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মনীশ সিসোদিয়া। তাঁর কথায়, ‘দিল্লির বাজেট তৈরি করা খুবই কঠিন কাজ। সেই কাজে কোনও রকম ঢিলেমি দেওয়া সম্ভব নয়। যদি সিবিআই এক সপ্তাহের সময় দেয় হাজিরার জন্য, তবে ভাল হয়। ফেব্রুয়ারির শেষের মধ্যেই আমি সিবিআই দফতরে হাজিরা দেব।’