সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীনই বিহারে জাতসমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করে দিল নীতীশ কুমার সরকার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিহারে বর্তমান অন্যান্য অনগ্রসর গোষ্ঠী (ওবিসি)-র সংখ্যা ৬৩ শতাংশ। কেন্দ্র এবং বিহার-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ওবিসিদের জন্য এখন ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু ওবিসিদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ পেরিয়ে যাওয়ায় এ বার আরও বেশি সংরক্ষণের দাবি উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার, গান্ধি জয়ন্তীতেই বিহারের মুখ্য সচিব এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেন। যার মাধ্যমে রাজ্যের উচ্চ বর্ণ থেকে নিম্ন বর্ণ সহ পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রকাশ্যে এল। এই রিপোর্ট রাজ্যের সমস্ত সম্প্রদায়ের উন্নতিতে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আবার এটা গোটা দেশের কাছে নজির হল এবং অন্যান্য রাজ্যও এবার এই পথে হাঁটবে বলে দাবি আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের।
যদিও নীতীশ সরকারের জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্ট কেবল ‘আইওয়াশ’ বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। এর বদলে নীতীশ সরকারের ১৮ বছরের শাসনকালের এবং লালু প্রসাদ যাদবের ১৫ বছরের শাসনকালে রাজ্যের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
জাতিগত সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমানে বিহারে মোট জনগণ রয়েছে ১৩ কোটির বেশি। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশ অতিরিক্ত অনগ্রসর শ্রেণি, ২৭ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি পর্যায়ের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ১৯ শতাংশ তপশিলি জাতি এবং ১.৬৮ শতাংশ তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। আর মোট জনগণের মাত্র ১৫.৫২ শতাংশ সাবর্ণ বা উচ্চ সম্প্রদায়ভুক্ত। এছাড়া ভূমিহার ২.৮৬ শতাংশ, ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ, কুর্মি ২.৮৭ শতাংশ, মুসাহার ৩ শতাংশ এবং যাদব সম্প্রদায়ভুক্ত রয়েছে ১৪ শতাংশ।