মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থেকে উদ্ধার হয় এক বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ। রাজ্য় পুলিশের তরফ থেকে দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক, কিন্তু পরিবার সে দাবি মানতে নারাজ। মৃতের মায়ের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর ছেলেকে। এরপর দেহ নিতে অস্বীকার করেছে পরিবার। শুধু তাই নয়, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেই এই মামলার শুনানি।
আদালত সূত্রে খবর, গত ৫ জুলাই মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে শেখ হোসেন আলি নামে এক বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শেখ হোসেন আলির বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে একটি অপহরণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই যুবককে। অসুস্থতার কারণে তমলুক জেল থেকে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল। এরপর সেখানেই শেখ হোসেন আলির ঝুলন্ত দেহ মেলে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ মৃতের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। একইসঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।